গঙ্গরামপুর থানার সয়রাপুরে বৃদ্ধ দম্পতীকে মারধর, খুনের চেষ্টা,শ্লীলতাহানী করা সহ একাধিক অভিযোগ উঠল বৌমা ও তাঁর মা বাবার বিরুদ্ধে

0
570

গঙ্গরামপুর থানার সয়রাপুরে বৃদ্ধ দম্পতীকে মারধর, খুনের চেষ্টা,শ্লীলতাহানী করা সহ একাধিক অভিযোগ উঠল বৌমা ও তাঁর মা বাবার বিরুদ্ধে


শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর, ১৩ জুলাই ,দক্ষিণ দিনাজপুর-ছেলে কাজের সুত্রে বাইরে থাকেন আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে বাড়িতে ফেরা বয়স্ক শশুর শাশুড়ীকে বৌমা ও তাঁর বাবা মা মারধর খুনের চেষ্টা,লুঠপাট, শ্লীলতাহানী করে বাড়ি থেকে ফের তাঁড়িয়ে দেবার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে এলাকায়।বৌমা ও তাঁর বাবা মায়ের অত্যাচারে সহায় সম্বল হারিয়ে ফের পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই দম্পতী বলে অভিযোগ।দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার গঙ্গারামপুর থানার (২) ১বেলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের সয়রাপুর এলাকার ঘটনা।অভিযোগ,ঘটনার বিষয়টি নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় গেলেও পুলিশ কেন কোন পদক্ষেপ নিলেন না এমন অভিযোগ পাবার পরেও সেই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকেই। বাধ্য হয়েই অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বৌমা ও তাঁর বাবা মায়ের হাতে নির্যাতিতা বৃদ্ধ দম্পতী৷এদিন দুজনেই কান্না কান্না চোখে তাঁদের দুঃখের কথা জানিয়ে আদালতে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্তদের। আদালতের আইনজীবী জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি জানিয়ে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।বয়স্ক নাগরীকেরা বিচার পাবেই।এমন ঘটনায় শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে।
শক্তিপদ ঘোষের পরিবার সুত্রে যানা গিয়েছে, তাঁর ছেলে কাজের সুত্রে বাইরে থাকেন।বহু দিন ধরেই ছেলে বাইরে থাকলেও বয়স্ক শক্তিপদ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রীj বেবিরানি ঘোষ বৌমা পারুল দাস ঘোষকে নিয়েই সংসারে ছিলেন। সয়রাপুরেই ওই বয়স্ক দম্পতীর
নামে তাদের সমস্ত জমি জায়গা রয়েছে৷ অভিযোগ শক্তিপদ ঘোষের বৌমা উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের থানার রায়পুরের বাসিন্দা পারুল ওই বয়ষ্ক দম্পতীদের উপরে নানা কারণে অত্যাচার শুরু করে ।পরিস্থতি খারাপ হচ্ছে দেখে শক্তিপদ ঘোষের অভিযোগ, গত ২১/১২/২০২০ সালে থানায় বধু নির্যাতনের মামলা দায়ের করে এসেই তাঁর বৌমা পারুল সহ তাঁর বাবা সুধীর চন্দ্র দাস,মা স্বপ্ন দাসেরা মিলে রেজিষ্টিকৃত জায়গা থেকে তাঁদের দুজনকে বের করে দেয়। তখন থেকেই তাঁর বৌমা সহ বাবা ও মা সেই জায়গা সহ সমস্ত কিছু ভোগ দখল করে রেখেছিল৷কোন উপায় না দেখে ওই বৃদ্ধ দম্পতী দুজনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াতে থাকে৷

ওই বৃদ্ধ দম্পতী শক্তিপদ ঘোষ গঙ্গারামপুর মহুকুমা আদালতের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে জানিয়েছেন,গত ৮জুলাই তাঁর বাড়িতে সয়রাপুরে স্ত্রীকে নিয়ে পাসবই সহ দরকারী কাগজপত্র আনতে গিয়েছিল বাড়িতে৷

ঘোষ দম্পতী শক্তিপদ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী বেবিরানী ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন অসুস্থ হ্রদয়রোগী ।তা জানা সত্ত্বেও আমারা বাড়িতে ঢুকতেই বৌমার বাবা সুধীর চন্দ্র দাস,তার স্ত্রী স্বপ্না দাস, বৌমা পারুল দাস ঘোষ আমাকে মেরে ফেলে দেবার জন্য বাম দিকে কিল ঘুসি মারতে থাকে। আমাকে আমার স্ত্রী বাঁচাতে গেলে তাকেও সুধীর চন্দ্র দাস মারধর করে , ও শ্লীলতাহানী করে৷গলার সোনার গহনা ছিড়ে নিয়ে চলে যায়৷জীবনে বেঁচে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।পরে থানায় গিয়েছিলাম পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি দুজনে। এবারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
বুনিয়াদপুর মহুকুমা আদালতের আইনজীবী বাবু আহম্মেদ জানিয়েছেন, থানা ও জেলা পুলিশে জানানোর পরেও ব্যবস্থ না নেওয়ায় বয়স্ক দম্পতীদের পুরো ঘটনা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।ওনারা বিচার পাবেই বলে আশা করছি।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় উচ্চ আদালত বহু বার রায় দিয়েছে যে, বয়স্ক বাবা মাকে যদি বৌমা না দেখাশুনা করে এবং কোন রকমের অত্যাচার করে তাহলে ওই দম্পতীর ছেলে তাঁর স্ত্রীকে যে কোন মহুতে ডিভোর্স দিতে পারবে।তাঁর পরেও কেন সেই সমস্ত বৌমাদের এত অত্যাচার সর্জ করবে বয়স্ক দম্পতীরা সেই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here