৮৭বছর বয়সে সকলের প্রিয় মাস্টারমশাই চলে গেলেন,অন্তিম শয্যায় বিভিন্ন জায়গাতে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হলো-শেষ অন্তিম শয্যায় হাজির হলেন হলেন হাজার হাজার তার ছাত্র-ছাত্রী থেকে মানুষজনও গঙ্গারামপুর ৯ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর।চলে গেলেন সকলের প্রিয় মাস্টারমশাই মাধবেন্দ্রনাথ সরকার ওরফে মন্টু মাস্টার। বৃহস্পতিবার তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাব, পৌরসভা, হাইস্কুল, জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বিভিন্ন জায়গায়।হাজার হাজার প্রয়াত শিক্ষকের ছাত্র থেকে অভিভাবক রাজনীতিবিদেরা অন্তিম শয্যায় হাজির হলেন শিববাড়ি শ্মশানে। প্রয়াত শিক্ষক মাধবেন্দ্রনাথ সরকারের অন্তিম শয্যায় চোখের জল ফেললেন বহু মানুষজনও। সবমিলিয়ে গঙ্গারামপুরবাসীর এদিনের চোখের জল বলে দিল তিনি চলে গেলেও তার স্মৃতিকে স্মরণে রাখবে সকলেই সব সময়। মাধবেন্দ্রনাথ সরকার ডাকনাম মন্টু মাস্টার। মাস্টার মশাই কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্য জনিত কারণ ও বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিলেন।কর্মজীবনে তিনি গঙ্গারামপুর হাইস্কুলে ভূগোল বিভাগে শিক্ষকতা করতেন। অবসর সময় স্কুলের শিক্ষকতা করার পাশাপাশি বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের ভূগোল বিষয়ে পড়াশোনা করাতেন তিনি তার পূর্ব হালদারপাড়া বাড়িতে ।১৯৯৭সালে গঙ্গারামপুর পৌরসভা গঠন হবার পরে অ্যাডক কমিটির কাউন্সিলর হয়েছিলেন প্রয়াত এই শিক্ষক নেতা। তখন থেকেই সাধারণ মানুষজনদের জন্য কাজ করার নেশা তার বহু দিনের। খেলাধুলা জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে তিনি গঙ্গারামপুরের ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।তার হাত ধরেই বর্তমানে গঙ্গারামপুরের ফুটবল ক্লাবটি সুনামের সঙ্গে আজও নাম রয়েছে। শুধু শিক্ষকতাই নয়, প্রথমে কংগ্রেস ও পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে প্রয়াত এই শিক্ষক নেতা মানবেন্দ্রনাথ সরকারের নাম রয়েছে জেলা জুড়েই। তিনি একাধিক সময়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বহু পদেও ছিলেন। প্রয়াত এই শিক্ষক নেতার দেহ কলকাতা থেকে বুধবার রাতে গঙ্গারামপুরে কে এসে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃতদেহ শেষ শ্রদ্ধা জানান গঙ্গারামপুর ফুটবল ক্লাবের তরফে।ফুটবল ক্লাবের সম্পাদক বরুন সরকার, অন্যতম সদস্য বৈদ্যনাথ ঘোষ, গৌরপদ ঘোষ, মিলন ঘোষ, হরিলাল রায়, বাপ্পা সন্ন্যাসী, মানব সরকার, ভুট্টু হালদার, রামপ্রসাদ হালদার, আনন্দ রায় সহক্লাবের বহু সদস্যরা তার শেষ শ্রদ্ধা জানান। এবিষয়ে ক্লাবের অন্যতম সদস্য মিলন ঘোষ জানিয়েছেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার এই অকাল প্রয়াণই আমরা অভিভাবককে হারালাম। ওনার অবদান আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারিনা। ফুটবল ক্লাবে প্রয়াত এই শিক্ষক নেতাকে সম্মান জানানোর পরে তার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গারামপুর পৌরসভায়।সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস, প্রাক্তন কাউন্সিলর তুলসীপ্রসাদ চৌধুরী, ৪/ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ পৌরসভার একাধিক কর্মচারীরা। এবিষয়ে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন , মাস্টার মশাই আমাদের অনুপ্রেরণা ছিল। তিনি এভাবে চলে যাবেন এটা ভাবতে পারছিনা। তার স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য পৌরসভার তরফের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হলো। এরপরেই তার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার কর্মস্থল গঙ্গারামপুর হাইস্কুলে।সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান গঙ্গারামপুর হাই স্কুলের একাধিক শিক্ষক শিক্ষকেরা। এরপরেই তার মৃতদেহ নিয়ে যায় জেলা তৃণমূল পার্টি অফিস নিউমার্কেটে।তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি শংকর সরকার, জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস, বুনিয়াদপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সহ আরো অনেকেই। প্রয়াত এই শিক্ষক মানবেন্দ্রনাথ সরকারের মৃতদেহ তার পরিবারের পূর্ব হালদার পাড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সম্মান জানান জেলা তৃণমূল প্রাক্তন সভাপতি মৃণাল সরকার, বিজেপি নেতা অশোক বর্ধন সহ আরো অনেকেই শিক্ষক নেতার বাড়িতে বহু মানুষজন তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পরে তার মৃতদেহ গঙ্গারামপুরের শিববাড়ি শ্মশানে সৎকার্য করা হয়। প্রয়াত শিক্ষক নেতার শেষ যাত্রায় হাজার হাজার মানুষজন সামিল হয়েছিল।সকলে যেন চোখের জলে তাকে বিদায় জানালেন।গঙ্গারামপুর হাইস্কুল থেকে চাকরি জীবনে অবসর গ্রহন করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় রাজনীতি করতেন। শিক্ষক মাধবেন্দ্রনাথ সরকার চলে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী সুপ্রভাত সরকার, চার মেয়ে, এক ভাই বরুণ সরকার ও তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা সরকার সহ বেশ কয়েকজন নাতি পুতিদের রেখে গেলেন। প্রিয় মাস্টারমশাইয়ের অন্তিম শয্যায় সকলে শামিল হয়ে হাজার হাজার মানুষ ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা চোখের জল ফেললেন আর বলতে চাইলেন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন মাস্টার মশাই ভাল থাকুন আপনার স্মৃতি থাকবে আমাদের মনে সব সময়।
Home উত্তর বাংলা দক্ষিণ দিনাজপুর ৮৭ বছর বয়সে সকলের প্রিয় মাস্টারমশাই চলে গেলেন,অন্তিম শয্যায় বিভিন্ন জায়গাতে শেষ...