৬৯ তম রাজ্যস্তরের অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রিকেট স্কুল গেমস আয়োজন গঙ্গারামপুরে,
মোবাইল ছেড়ে খেলায় মনোযোগী হোক ছাত্রছাত্রীরা আশাবাদী বিশিষ্টজনেরা
শীতল চক্রবর্তী, বালুরঘাট
১৫ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।ছাত্র–ছাত্রীরা মোবাইল থেকে দূরে সরে খেলাধুলার প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে উঠুক—এই লক্ষ্যেই অনুষ্ঠিত হল ৬৯তম রাজ্যস্তরের অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রিকেট স্কুল গেমস। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্র নারায়ণপুর কলোনি মাঠে শনিবার এই প্রতিযোগিতার সূচনা হয়।
মাঠে নেমে ব্যাট হাতে খেলার উদ্বোধন করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক রবি কুমার মিনা এবং গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকার, গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক অভিষেক শুক্লা, গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র, ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস-এর জেলা সম্পাদক শুভজিৎ মিশ্র, এক্সিকিউটিভ কমিটির সহ-সভাপতি রাজনারায়ণ গোস্বামী, সমাজসেবী সুব্রত মুখার্জি, শংকর সরকার, কৌশিক সাহা, অসিত মালাকার সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে ক্রিকেটে বিশ্বজয়ী রিচা ঘোষের সাফল্যের উদাহরণ তুলে ধরে ক্রীড়াপ্রেমী ও ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রেরণার বার্তা দেওয়া হয়।
রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালনায় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া পরিষদের সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের ২২টি জেলার মোট ৩১টি ছেলে ও মেয়েদের দল অংশ নিচ্ছে। টুর্নামেন্ট চলবে মোট ৬ দিন ধরে। যায় দিন গঙ্গারামপুর শহরের তিনটি মাঠে ক্রিকেট খেলার আয়োজিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা শাসক রবি কুমার মিনা বলেন,”মূলস্তর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই বৃহৎ আয়োজন এবার গঙ্গারামপুরের তিনটি মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন,”ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল গেম ছেড়ে মাঠে নেমে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ তৈরি করুন।রিচা ঘোষের মতো আরও সফল ক্রিকেটার আমরা তৈরি করতে পারব,এটাই আমাদের লক্ষ্য। যারা খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই ।”
ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টসের জেলা সম্পাদক শুভজিৎ মিশ্র এবং সহ-সভাপতি রাজনারায়ণ গোস্বামী জানান,”এধরনের প্রতিযোগিতা থেকে আগামী দিনে প্রচুর ভালো ক্রিকেটার তৈরি হবে—এটাই সরকারের উদ্দেশ্য।৬দিন ধরে তিনটি মাঠে খেলা চলবে।”
রাজ্যস্তরের ক্রিকেট খেলা দেখতে প্রথম দিনেই মাঠজুড়ে উৎসাহী দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।


















