৩ শ্রমিককে বিহারে আটকে কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ

0
122

বাংলা ও বিহারের দুই ঠিকাদারের লেনদেনের দ্বন্দ্বে গঙ্গারামপুরের ৩ শ্রমিককে বিহারে আটকে কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ, থানায় দায়ের হল লিখিত অভিযোগ-তদন্তে পুলিশ
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ২৩জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-দু-রাজ্যের শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদারের লেনদেনের ঝামেলার রেজে অসহায় ৩দিন মজুর
শ্রমিকদের আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিহারের ঠিকাদার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।এমনকি মুক্তিপনের প্রায় ২লক্ষ ৫০ হাজর টাকা ২৪ঘন্টার মধ্যে না পেলে ওই ৩জনকে খুন করে দেহ লোপাট করা হবে বলে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শ্রমিক পরিবারের লোকজনদের।পরিবারের প্রধানদের জীবন বাঁচাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার জয়পুর এলাকায় দুই গৃহবধূ পৃথকভাবে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের ‘করেছেন।তাদের পরিবারের আত্মীয়স্বজনেরা চাইছেন, পুলিশ ওই ৩জনের জীবন বাঁচিয়ে বিহার থেকে উদ্ধার করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেক।পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় শোরগোল এলাকাজুড়ে।
গঙ্গারামপুর থানার ‘জয়পুর এলাকার বাসিন্দা জ্যোতিন সিং ও তাঁর ছেলে রাজু সিং ও তার এক প্রতিবেশী সঞ্জিত সরকার একই থানার জয়পুরের বাসিন্দা শ্রমিক সরবহারকারী ঠিকাদার ধনা সিং ওরফে লম্বু মাধ্যমে কাদিঘাট এলাকার বাসিন্দা সিকান্দার রাউত ও বংশীহারী থানার কোটমোড় এলাকার বাসিন্দা শ্রমিক সরবহারকারী ঠিকাদার বিমানের সহযোগীতায় পাশের রাজ্যে বিহারে দিন মজুরের কাজ করতে যায়। শ্রমিকদের পরিবার সুত্রে খবর, কাজে নিয়ে যাবার সময় ওই তিন ঠিকাদার সংসার পরিচালনা করার জন্য ১০/১৫ হাজার টাকা হাতে দিয়েছিলেন তাঁরা।কিছু দিন সব ঠিকঠাক চললেও হঠাৎ বিহার রাজ্যের জামালপুর এলাকার মাগুরপুড়া থেকে মাসুদ,মুন্সী নিয়তি নামে বিহারের ঠিকাদার ওই দুই পরিবারে ফোন করে জানায়,তিনজন মিলে কাজ করার আগে প্রায় ২লক্ষ টাকা নিয়েছে।সুদ সহ প্রায় ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তাদের বাকি রয়েছে। এখন তাদের আমি আটকে রেখেছি।সব মিলিয়ে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা মুক্তিপণ বাবদ(যা তাঁরা আগাম হিসেবে নিয়েছে শ্রমিকেরা সেই টাকা পরিশোধ না করলে তাঁদের শেষ করে দেহ লোপাট করে দেওয়া হবে)বলে হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের পরিবারে।
শ্রমিক জ্যোতিন সিং স্ত্রী বুধুবালা সিং ও প্রতিবেশী সঞ্জিত সরকারের স্ত্রী শ্রীমচি সিং সরকারেরা জানান,”আমরা যত সামান্য টাকা পেয়েছি মাত্র।এখন স্বামী ও ছেলেদের ছাড়তে ফোন করে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাইছে তাঁরা।কোথা থেকে এতটাকা দেব,তাই থানার আশ্রায় নেয়েছি।স্বামী ও ছেলের মুক্তি চাই,দোষিরা ধরা পড়ুক।”। শ্রমিক জ্যোতিন সিং আত্মীয়রা জানিয়েছেন, খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছি, পুলিশ সকলকে উদ্ধার করুক সেই দাবি জনাই।
বিহারের ওই শ্রমিক সরবহারকারী ঠিকাদার মাসুদ মুন্সী নিয়তি যে মুক্তিপণের কথা বলছেন তাঁর মোবাইল ফোনের রেকোডিং থেকেই স্পষ্ট হয়েছে।
এবিষয়ে ঠিকাদার ধনা সিং বলেন,”বিহারের ঠিকাদার কেন ওই শ্রমিকদের কাছে এত টাকার জন্য তাদের আটকে রেখেছে বুঝতে পারছিনা।প্রশাসন তদন্ত করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
গঙ্গারামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,”দুটি ‘লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।তদন্ত করে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here