২২ দফা দাবি নিয়ে বংশীহারী আইসিডিএস অফিসে ডেপুটেশন পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহরে সোমবার বেলা ১২ টা নাগাদ বংশীহারী এরিয়া সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বুনিয়াদপুর ফুটবল মাসের পাশে একত্রিত হয়। বুনিয়াদপুর ফুটবল মাঠ থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে গোটা বুনিয়াদপুর শহর পরিক্রমা করে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। বুনিয়াদপুর শহরে বংশীহারী আইসিডিএস অফিসের সামনে এসে মিছিল শেষ করে ২২ দফা দাবি নিয়ে পৌঁছায় সিডিপিও অফিসারের কাছে। ২২ দফা দাবি মধ্যে মূল দাবি গুলি হল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দুইটি ফোন আসলেও সেই ফোন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা পাননি। ২০২১ সালে ফোনের অর্ডার হলেও এখনো পর্যন্ত সেই ফোন পায়নি বলে দাবি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। অঙ্গনওয়াড়ী কর্মী ও সহায়িকাদের সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ইতি মধ্যে সুপ্রীম কোর্ট গ্র্যাচুইটি প্রদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আদেশনামা দিয়েছে। ৬৫ বছরে ছাটাই শব্দের অবলুপ্তি ঘটিয়ে সকল কর্মী সহায়িকাদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরন দিতে হবে। দূরাবস্থায় থাকা কর্মী ও সহায়িকাদের ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরন দিতে হবে। প্রতি কেন্দ্র প্রতি ঘরে জল প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি কেন্দ্রে পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি সেন্টার আধুনিক শিক্ষার উপযুক্ত করে সমস্ত সুবিধাসহ গড়ে তুলতে হবে পাকা ঘর, শৌচালয়, পানীয় জল ও খেলার জায়গাসহ। বাস্তব সম্মত সেন্টারের ঘর ভাড়া দিতে হবে আদেশনামা থাকা সত্ত্বেও এখনও দেওয়া হয় না। চাল-ডালের গুনগত মানসহ সঠিক ওজনের বস্তায় চাল-ডাল সরবরাহ করতে হবে। এছাড়াও আরো অন্যান্য দাবি পূরণ করতে হবে সরকারকে। দাবি না মেনে নিলে এর পরে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে দাবি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এদিনের এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতির রাজ্য কমিটির সহকারী সভাপতি অনুরূপা শর্মা, রাজ্য কমিটির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট মৌসুমী ঘোষ, বংশের ব্লক কমিটির সভাপতি ইতি সাহা সহ মুক্তি বিশ্বাস,সারন্তি ঘোষ,নারগিস বানু, মাধব পাল,জিসনুর রিনা পারভিন সহ অন্যান্য কর্মীরা।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতির রাজ্য কমিটির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট মৌসুমী ঘোষ জানিয়েছেন আমাদের বাইশ দফা দাবি নিয়ে আমরা আজ বংশীহারী আইসিডিএস অফিসে ডিপ্রেশন দিতে এসেছি। আমাদের ২২ দফা দাবি সিডিপি ওকে দ্রুত মেনে নিতে হবে না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতির রাজ্য কমিটির সহকারী সভাপতি অনুরূপা শর্মা জানিয়েছেন আমরা সামান্য কিছু অনারিয়াম পেয়ে থাকি। সেই বেতন থেকেই আমাদের অঙ্গনারী সেন্টার চালাতে খরচা করতে হয়। কিন্তু সিডিপিও তার বেতন থেকে কোন খরচা করে না। তাহলে আমরা কেন করব এছাড়া ২২ দফা দাবি নিয়ে আজকে আমাদের ডেপুটেশন ডেপুটেশন বংশিহারি আইসিডিএস অফিসে।