১৫২ তম বর্ষে বাসন্তী পুজার নবমী অনুষ্ঠান পালিত হলো কুশুম্বা চৈতাবালি গ্রামে

0
81

১৫২ তম বর্ষে বাসন্তী পুজার নবমী অনুষ্ঠান পালিত হলো কুশুম্বা চৈতাবালি গ্রামে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের কুশুম্বা চৈতাবালি গ্রামে বহু প্রাচীন প্রচলিত উৎসব বাসন্তী পুজো। এই বছর ১৫২ তম বর্ষে করা হচ্ছে বাসন্তী পুজো। ওই গ্রামের মানুষ দুর্গা পুজোর থেকে বেশি আনন্দ করেন এই বাসন্তী পুজোতে। কুশুম্বার চৈতাবালি গ্রামের বাসন্তী পুজো চন্ডি মাতা ঠাকুরানী মনে পরিচিত। এই পুজোকে কেন্দ্র করে ৭ দিন ব্যাপি চলে মেলা। বুনিয়াদপুর শহরের বাসন্তী পুজো শুরু হবার আগে বুনিয়াদপুর বাসীরা কুসুম্বার চৈতাবালি গ্রামের চন্ডি মাতা ঠাকুরানীর পুজা ও মেলা দেখতে যেতেন। যদিও মেলা কমিটির দাবি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ছুটে আসে চন্ডি মাতা ঠাকুরানীর পুজা ও মেলা দেখতে। এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের স্টেশনারি দোকানের পাশাপাশি বাচ্চাদের আনন্দ দিতে মিকি মাউস সহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে যাক জমক ভাবে মেতে উঠেছে মেলা। বাসন্তী পুজো বা চন্ডি মাতা ঠাকুরানীর পুজোর নবমী তিথি রয়েছে রবিবার। আর এই দিনেই রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের উপস্থিতিতে পুজা কমিটির সদস্যদের মধ্যে খুশীর ইমেজ দেখা গিয়েছে, পুজো কমিটিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। পুজো কমিটির সদস্যরা প্রথমে মন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন। চন্ডি মাতা ঠাকুরানীর মন্দিরের কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে সেই অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে সহযোগিতা করতে চেয়েছেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। পুজো কমিটির সদস্যরা মন্ত্রীর কাছ থেকে সব সময় সহযোগিতা পেয়ে ভীষণ ভাবে খুশি ও উপকৃত। রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারপারসন কমল সরকার, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম সহ তৃণমূল দলের দায়িত্বে থাকা অন্যান্য নেতৃত্বরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিল পুজো কমিটির সম্পাদক হিমেশ সরকার, সেক্রেটারি গোপাল সরকার, সঞ্চালক রামজী মাহাতো সহ অন্যান্য সকল সদস্যরা। পুজোকে কে কেন্দ্র করে মেলাতে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছেন অত্র এলাকার মানুষজন। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ভির জমছে চোখে পড়ার মত।

এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন আমাকে প্রতিবছর এই পুজোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে থাকেন। আমি প্রায় প্রত্যেকবারই আসার চেষ্টা করে থাকি। এই পুজো বহু প্রাচীন যুগ থেকে প্রচলিত। এখানে বাসন্তী পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা হয়ে থাকে। বহু দূর দুর্দান্ত থেকে এ মেলায় বহু মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকেন। এদের মন্দিরের কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে যা আমি চেষ্টা করছি অতি দ্রুত সম্পূর্ণ করে দেওয়ার।

এই বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক হিমেশ সরকার জানিয়েছেন প্রতি বছরের মতো এই বছর ১৫২ তম বর্ষে আমাদের চন্ডি মাতা ঠাকুরানী ও বাসন্তী পুজা করা হয়েছে। আজকে আমাদের পুজার নবমী তিথী রয়েছে। আজকের দিনে আমাদের মন্ত্রী তথা বিধায়ক বিপ্লব মিত্র এসে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের পুজোতে তিনি বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করে থাকেন, আমরা এতে ভীষণ ভাবে খুশী ও উপক্রিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here