১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন সরানো নিয়ে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল ঠিকাদার সংস্থার স্থানীয় এজেন্টের বিরুদ্ধে। লিখিত ভাবে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে।
১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন সরানো নিয়ে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ উঠল ঠিকাদার সংস্থার স্থানীয় এজেন্টের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ তুলেছেন বংশীহারীর ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ। তাঁর আরও অভিযোগ, দাবি মতো ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার পরেও লাইন সরোনোর কাজ হয়নি। পরে যখন তিনি বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলতে যান, তখন তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেও ক্ষোভ রয়েছে তাঁর। এব্যাপারে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে। বংশীহারীর বুনিয়াদপুর সংলগ্ন জোড়দিঘি চাঁদমুখ এলাকায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন গিয়েছে সঞ্জয় ঘোষের দোকান ঘেঁষে। তাই যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছিলেন তিনি। সেই লাইন সরাতে প্রথমে সরাসরি বিদ্যুৎ দপ্তরের দ্বারস্থ না হয়ে সঞ্জয় এক ঠিকাদার সংস্থার স্থানীয় এজেন্ট শিশির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শিশির ও ওই সংস্থার কর্ণধার দাবি করেন যে তাঁদের সঙ্গে বিদ্যুৎ দপ্তরের বুনিয়াদপুর ডিভিশন অফিসের ডিভিশনাল ম্যানেজারের যোগাযোগ রয়েছে। তাই প্রভাব খাটিয়ে তাঁরা কাজটি দ্রুত করে ফেলতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এরকম এর আগে আরো কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তাঁকে ঠিকাদার সংস্থার লোকজন জানান যে, সোজা পথে কাজটি করাতে গেলে প্রায় ছয় মাস লেগে যাবে। আর যদি তাঁদের মাধ্যমে করানো হয় তাহলে সাতদিনের মধ্যেই বিদ্যুতের পোল সরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের ওপর ভরসা করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা শিশিরকে দেন সঞ্জয়। কিন্তু সেই বাবদ তাঁকে কোনও রসিদ বা কোটেশন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তারপর সাতদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কাজটি না হওয়ায় সঞ্জয় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শিশির নাকি সেসময় জানান যে তিনি টাকা বিদ্যুৎ দপ্তরে ডিভিশনাল ম্যানেজার নীলাঞ্জন মণ্ডলকে হাতে দিয়ে দিয়েছেন। তখন সঞ্জয় সেকথা দপ্তরের ডিভিশনাল অফিসার নীলাঞ্জন মণ্ডলকে বলতে গেলে তিনি কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ সঞ্জয়ের।
এই বিষয়ে সেই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘বেআইনিভাবে টাকা তোলা, দালালচক্র পরিচালনা এবং অসদাচরণের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
এনিয়ে শিশির সরকার দাবি করেন, ‘আমি অমল কর্মকারকে টাকা বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিককে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে সোমবার ডিভিশনাল ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমকে কোনও উত্তর দিতে চাননি। উলটে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
আর বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার শুভময় সরকার বলেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’ জোনাল ম্যানেজার পার্থ রায়ও সেই ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন।



















