১১ বছর পর বালুরঘাট গণধর্ষণ কাণ্ডের রায়, তিন যুবকের যাবজ্জীবন
বালুরঘাট, ২৩ জুলাই —- ১১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। শেষমেশ নৃশংসতার শাস্তি। বালুরঘাটের আদিবাসী পৌঢ়া গণধর্ষণ কাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। প্রিভেনশন অফ এট্রোসিটিস অ্যাক্টের বিশেষ আদালতের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি ধারায় তিনজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড। একইসঙ্গে, ৪৫৮ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা ধার্য হয়েছে।
দীর্ঘ তদন্তের মাঝে কয়েক বছর আগেই বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার। কিন্তু তবুও মৃত্যুর পরেও ন্যায়বিচার মিলল। সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তিন অভিযুক্তই দীর্ঘদিন সংশোধনাগারে। সাজা লঘু করার আবেদন ছিল। কিন্তু প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ঘটনার নিষ্ঠুরতা তুলে ধরা হয়। পুলিশি তদন্তও যথেষ্ট পোক্ত ছিল। আদালতের রায় দৃষ্টান্ত তৈরি করল।’’
২০১৩ সালে বালুরঘাট শহরতলি এলাকায় এক আদিবাসী মহিলাকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে তিন যুবক। নৃশংসতা ও লজ্জার সেই ঘটনার পরে বহু জল গড়িয়েছিল। শেষমেশ ১১ বছরের মাথায় মিলল রায়। যদিও দেরিতে হলেও ন্যায়বিচার পেয়েছেন নির্যাতিতা— এটাই বড় কথা বলছেন আইনজীবীদের একাংশ।