হিলিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের জালে বিজেপির যুব নেতা, উদ্ধার খুনের কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১১ জুলাই––– হিলির তিওরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে বিজেপির যুব মণ্ডল সভাপতি । ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোট পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে খুনের কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও। যদিও জেলা পুলিশ সুপারের দাবী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । রবিবার সকাল থেকে জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা জোত তিওড়ে খুন হওয়া স্বর্ন ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকারের বাড়িতে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তার পরিবারের লোকেদের। ঘটনার কারন জানতে আলাদা আলাদা ভাবে ওই ব্যবসায়ীর মেয়ে ও স্ত্রীর সাথে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। যদিও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী মুক্তি কর্মকার ।
ব্যবসায়ীর দুই মেয়ে প্রিয়াঙ্কা কর্মকার এবং মনীষা কর্মকাররা বলেন, তাঁদের বাবা কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না । চক্রান্ত করে তার বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে । পুলিশ চটজলদি তাঁদের বাবার খুনিদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে সেই বিশ্বাস তাঁদের রয়েছে ।
শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে দুস্কৃতিদের গুলিতে নিহত হন হিলির জোত তিওড়ের স্বর্ন ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকার। যার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে তিওরে ধর্মঘট পালন করেন এলাকার ব্যবসায়ীরা । এদিকে এদিন সকাল থেকে ওই খুনের ঘটনার জোর তদন্তে নামে হিলি ও বালুরঘাটের তদন্তকারী অফিসারেরা। যার সুত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে খুনের কাজে ব্যবহৃত মোটর বাইকের পার্টস আলাদা করে লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিল ওই দুস্কৃতিরা । সেই সূত্র ধরেই রবিবার বিজেপির যুব মন্ডল সভাপতি সুব্রত মালীর বাড়ীতে হানা দেয় পুলিশ। রাতে কালী পূজো এবং পাঁঠা বলি হয় তার বাড়িতে । সেখান থেকেই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ । একই সাথে তার বাড়ীতে কলকাতা থেকে আসা আরও এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ । সূত্রের খবর তাকে সার্প সুটার হিসাবে ভাড়া করে আনা হয়েছিল বলেও মনে করছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও বেশকিছু বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ বলেও সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, এদিন বিকেলে বালুরঘাটের চকহরিনা থেকে ওই খুনের কাজে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ সুত্রের খবর। দিনভর এই খুনের কুলকিনারা করতে হিলি থানায় পৌঁছায় ডিএসপি সোমনাথ ঝাঁ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.ডি নাসিম । তারাও জিজ্ঞাসাবাদ করেন অভিযুক্তদের । যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মনের দাবী, তাঁদের নেতা কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে । আদালতে এর শেষ দেখবেন । আন্দোলনেও নামবেন জেলায় ।
জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, দুই জনকে আটোক করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।