হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নিরাপত্তারক্ষীর সাথে রোগীর আত্মীয়র মারপিট, উত্তেজনা বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৯ জুন: হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কর্তব্যরত মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর সাথে এক রোগীর আত্মীয়র মারপিটের ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। রবিবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর অভিযোগ, তাকে মারধোর করে তারা আইকার্ড ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পালটা ওই মহিলার অভিযোগ, হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা একত্রিতভাবে তার উপর আক্রমণ চালিয়েছে। মারধর করবার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা করবার কাগজপত্রও ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে রোগী ভিজিটিং এর সময়ের পরে এক রোগীর মহিলা আত্মীয় হাসপাতালে ঢুকতে যায়। সেই সময় সেখানে থাকা মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে বাঁধা দিলে শুরু হয় উভয়ের মধ্যে বচসা। এরপর সুনির্দিষ্ট কার্ড নিয়ে ওই মহিলা তার রোগীকে দেখবার জন্য হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করলে তার পিছু নেন নিরাপত্তারক্ষীরাও। হাসপাতালের ভিতরে উভয়ের মধ্যে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ চলে বলেও অভিযোগ। এরপরেই দুপক্ষ হাতাহাতি ও মারপিটে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করবার পাশাপাশি তার আইকার্ড ছিড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী। পালটা মারধরের অভিযোগ তুলেছেন রোগীর আত্মীয়ও। তার অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীরা একত্রিত হয়ে রোগী দেখতে আসা একজন অসহায় মহিলাকে মারধর করেছে। তার কাগজপত্র ছিড়ে দিয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
রূপা দাস সরকার নামে আক্রান্ত নিরাপত্তা রক্ষী বলেন, তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে প্রথম থেকেই ওই মহিলা। যার প্রতিবাদ করতেই তাকে মারধোর করে তার আইকার্ড ছিড়ে দেওয়া হয়েছে।
রোগীর আত্মীয় ছন্দা বর্মন বলেন, কার্ড ছাড়া রোগীকে দেখতে দেবেন না তারা। কার্ড নিয়ে এসে ভেতরে ঢুকলে তারাও তার পিছু নেয়। এরপর ভিতরে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী একত্রিত হবে তার ওপর আক্রমণ চালায়। চিকিৎসার বেশকিছু কাগজ ছিড়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আচড় দিয়েছেন তারা।