হরিরামপুরে বালিহারা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লোডশেডিং

0
118

হরিরামপুরে বালিহারা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লোডশেডিং,জেনারেটরে তেল না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্ধকারে রোগীরা, বিজেপির ফেসবুক পেজে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ভাইরাল,খোঁজ নেবার আশ্বাস মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ও মন্ত্রীর

শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট, ২৭জুলাই:দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিহারা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শনিবার রাতে প্রায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ ছিল না।অভিযোগ, জেনারেটর থাকলেও তাতে তেল না থাকায় অন্ধকারে চিকিৎসা চালাতে হয় নার্সদের।ভর্তি থাকা শিশু ও বয়স্ক রোগীসহ তাঁদের আত্মীয়রা মোবাইলের টর্চের আলোয় সময় কাটাতে বাধ্য হন।হরিরামপুরের এক বাসিন্দা এই দৃশ্য ফেসবুকে পোস্ট করলে তা পরে জেলা বিজেপির ফেসবুক পেজে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ৩মিনিট ১০সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়,হাসপাতালের কর্মীরা অন্ধকারে টর্চের আলোয় কাজ করছেন।তীব্র গরমে রোগীদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে।দেড় বছর আগে নির্মিত এই ১০-বেডের গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মূলত সৈয়দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের পরিষেবা দিয়ে থাকেন।সেখানে একজন হোমিওপ্যাথি ও দুজন জেনারেল ফিজিশিয়ান মিলিয়ে মোট তিনজন চিকিসকেরা রয়েছেন। রোগী রোসনেয়ারা খাতুন ও রোগীর আত্মীয় টুটুল ইসলামেরা ঘটনার কথা মেনে জানান,”মানুষজনের ভোগান্তির শেষ নেই,গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জেনারেটর থাকলেও তেল নেই। রোগীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার।”

এপ্রসঙ্গে জেলার সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,“রাজ্যের মন্ত্রীর নিজের এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল চিত্র ফুটে উঠেছে।এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন দরকার।”

হরিরামপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানান,“বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”

হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক ডঃঅনিরুদ্ধ চৌধুরীকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।” ঘটনা নিয়ে জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃসুদীপ দাসও জানান ,”আপনি বিষয়টি জানালেন আমি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেকেন্দ্রের আধিকারিককে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।”
স্থানীয়দের প্রশ্ন—“প্রদীপের নিচেই কি রয়েছে অন্ধকার?”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here