হরিরামপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য টেন্ডারের ঝামেলা নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসের বিভিন্ন জিনিষপত্র ভাঙচুর করার পাশাপাশি সরকারি কাগজপত্র লুটের অভিযোগ।

0
422

শীতল চক্রবর্তী হরিরামপুর 6 জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর :- টেন্ডারের বিষয় নিয়ে গোলমালের জেরে তৃণমূল থেকে বহিস্কৃত সোনা পাল ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত অফিসের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করার পাশাপাশি সরকারি কাগজপত্র লুটের অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েতের থেকে সরকারি কর্মীরাও । পুরো ঘটনা জানিয়ে বিডিও থেকে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লক এর বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। যদিও অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধানসহ কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন নিজের দোষ ঢাকতে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।

হরিরামপুর ব্লক এর বাগিচা পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হবার পর থেকেই তরুণ-যুবক গুলজার হোসেন সব সময় সাধারণ মানুষদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে গিয়েছেন বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে। অভিযোগ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হতে না পেরে সোনা পাল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য শচীন জয়সোয়াল সব সময় তার সঙ্গে থাকা বাকি আরেক পঞ্চায়েত সদস্য স্বাধীন দাসকে সঙ্গে নিয়ে কিছু সময় বিরোধী নিয়ে এসে ঝামেলা শুরু করে বহু সময়। সেই ঘটনায় প্রধানের উন্নয়নমূলক কাজ বাধা পায় বলে অভিযোগ, অভিযোগ বাকি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের। এমনকি টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হতেই শচীন ও স্বাধীন অন্যায় আবদার করে গোলমাল করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৪ অর্থ কমিশনের পঞ্চায়েত ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী সুমন দাসের অভিযোগ, সরকারি বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেছে। তারা অভিযোগ করেছেন।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গুলজার হোসেন জানিয়েছেন, শচীন ও স্বাধীন বিজেপির সঙ্গে মিলে কাজ করছে। অন্যায় দাবি করতে থাকে সে। এমনকি বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এসে ঝামেলা করে যাচ্ছে পঞ্চায়েতে অফিস ভাঙচুর করছে। এর আগেই সে ঝামেলা করছিল। এরা চায় আমরা যেন উন্নয়নমূলক কাজ করতে না পারি। তৃণমূল দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই তারা এমন করছে। লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিল দল ও প্রশাসনের কাছে।

পঞ্চায়েতের দলের নেতা মিজানুর রহমান সচিব ও স্বাধীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শচীন ও স্বাধীন আদতেও তৃণমূল করে কিনা তাও সন্দেহ আছে। আসলে শচীন প্রধান হতে পারেনি বলেই গুলজার এর মাধ্যমে বাগিচা পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে হওয়া উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে। তাই যারা উন্নয়ন বিরোধী তাদের বিরোধী দল কড়া ব্যবস্থা নেয় সেটাই দাবি জানাই।
হরিরামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নারায়ন সরকার (নকুল ) জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দেয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যাবে না। দলে আলোচনা হবে।
যদি অভিযুক্ত সোনা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সচিব জয়সওয়াল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, প্রধান নিজেই বেশ কয়েকটি কাজ নিয়ে তা বিক্রি করে দিয়ে দেখিয়েছিল। সেই ঘটনায় প্রতিবাদ করেছিলাম। পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক না।
গঙ্গারামপুরের মহকুমা শাসক মানবেন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনি খতিয়ে দেখে পুলিশ ব্যবস্থা নেই সেই দাবি জানাই ।


প্রশ্ন উঠেছে যারা দলের প্রতিনিধি হন তারা যদি সরকারের জিনিস নষ্ট করেন আর তাদের বিরুদ্ধে যদি দল কড়া ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী দিনে এলাকায় উন্নয়ন যে বন্ধ হয়ে যাবে সে বিষয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিরামপুর সহ জেলাজুড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here