শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ১ জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর :-২৪ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর পুকুর থেকে এক ব্যাক্তির গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে দেহ লোপাটের জন্য পুকুরে ফেলে রেখে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেছে দুষ্কৃতীকারিরা।ঘটনায় দোষিদের গ্রেফতারের দাবি সহ সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানার বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লে তখন থানার পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরে এলাকাবাসীরা। আইসি পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিলে মৃতদেহ উদ্ধার করে।পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যপক শোরগোল করেছে এলাকাজুড়ে।

মৃতের পরিবার ও হরিরামপুর থানা সুত্রে খবর,গলাকেটে খুন করে দেহ হরিরামপুর থানার বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশের পুকুরের মধ্যে ফেলে দেওয়া ওই ব্যাক্তির নাম তোফাজ্জল হোসেন (৫০) বছর। তার বাড়ি হরিরামপুর থানার পুন্ডরী গ্রাম পঞ্চায়েতের করমজা এলাকায়। মৃতের পরিবার সুত্রে খবর, দির্ঘ দিন ধরে তিনি হরিরামপুর থানার করমজা এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি বহুদিন ধরেই হরিরামপুর ব্লকের মজিদমোডে টোটো মেকানিকের কাজ করতেন।

মৃতের পরিবার সুত্রে খবর, শুক্রবার সকালে তিনি প্রতিদিনের মত তাঁর বাড়ি থেকে টোটো মেকানিকের কাজ করার জন্য হরিরামপুরের মর্জিদমোড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সারারাত আর সে বাড়িতে ফেরেনি।

শনিবার সকালে হরিরামপুর ব্লকের বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে পুকুরের গলাকাটা মৃতদেহ দেখতে পায় জৈনক ওই এলাকার বাসিন্দারা।সেই খবর পৌচ্ছায় মৃতের বাড়িতেও।ধীরে ধীরে এলাকাবাসীদের পাশাপাশি মৃতের আত্মীয়স্বজনেরা সেখানে ছুটে আসেন।ছুটে আসে হরিরামপুর থানার পুলিশও।মৃতদেহ পুকুর থেকে তুলতেই দেখা যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলা কেটে খুন করে পুকুরের ধারে তাঁর মৃতদেহ ফলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীকারিরা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মৃতের এলাকাবাসী ও আত্মীয় স্বজনেরা দেহ হরিরামপুর বাজারে রেখে দিয়ে ঘটনায় দোষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। আইসি সেখানে ছুটে আসলে তাঁর সঙ্গে চলে ব্যপক ধস্তাধস্তিও। এমনকি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ বাকি পুলিশ কর্মীদের ঘেরোয়া করে বিক্ষোভ দেখায় বহুবাসিন্দা।এমনকি পুলিশের ভুমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পরেন৷

খুন হওয়া মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী সাজ্জাতুন কোম,ও মৃতের বোন আঙ্গুয়ারা কোমেরা অভিযোগ করে বলেন পুলিশ কোথায় হযেভাবে বিনা কারণে আমাদের লোককে খুন করল প্রশাসন তাঁকেও কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। সেই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাই।
মৃতের এলাকাবাসী মুরাদ হোসেন ফারজুল ইসলাম সহ আরেক এলাকাবাসীরা পুলিশের ভুমিকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,রাত পাহারায় পুলিশ কোথায় ছিল? আমরা এদের বিশ্বাস করিনা, চাই সিবিআই তদন্ত।যতক্ষন না দোষিরা ধরা পড়বে ততক্ষন আমরা এখানে দেহ রেখে দিয়ে আন্দোলন করব।

ঘটনার পরিস্থতি অন্য দিকে মোড় নিতেই সেখানে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ছুটে এলে তাঁকেও ঘেরোয়া করে রাখা হয়।পরে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবেই।
এমন ঘটনায় শোরগোল পরেছে হরিরামপুর সহ জেলাজুড়ে।