স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রায়গঞ্জে অভিনব প্রতারণার শিকার বালুরঘাটের মহিলা, চারমাস ধরে হেনস্থা করছে নার্সিংহোম কতৃপক্ষ, হেলদোল নেই দপ্তরের

0
687

পিন্টু , বালুরঘাট, ২৪ জুলাই––– স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রতারনার নতুন ফাঁদ রায়গঞ্জে। বেসরকারী নার্সিংহোমের আড়ালেই চলছে সাধারণ মানুষকে ঠকানোর কাজ। অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে রোগীকে ভর্তি করানোর পরেই নার্সিংহোম কতৃপক্ষের তৎপরতায়  চলছে অভিনব এই প্রতারনা। নিজের গলব্লাডার স্টোন অপারেশন করতে গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হলেন বালুরঘাটের বাসিন্দা। চারমাস পরেও টাকা না ফেরত দেওয়ার অভিযোগ  নার্সিং হোম কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অসহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যসাথী বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে রায়গঞ্জে অভিনব প্রতারণার শিকার বালুরঘাটের এক মহিলা। চার মাস ধরে হেনস্থা করার অভিযোগ এক বেসরকারি নার্সিং হোম কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে।  জানাগেছে, বালুরঘাট শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপুর এলাকার বাসিন্দা অর্পিতা সোম বসাক গত ২৭শে মার্চ রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে গলব্লাাডার স্টোনের অপারেশনের জন্য ভর্তি হন । স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েই সমস্ত চিকিৎসা হবে এমনটা নার্সিং হোম কতৃপক্ষের তরফে জানানো হয় মহিলার স্বামী  নীতিশ বসাককে। এরপর রোগীকে ভর্তি করাতেই শুরু হয় নার্সিং হোম কতৃপক্ষের সেই অভিনব প্রতারণা। করা হয় টাকার দাবী। জানানো হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ঢুকলেই রোগীর পরিবারের তরফে দেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। নার্সিং হোম কতৃপক্ষের পাতা এমন ফাঁদে পড়ে বালুরঘাটের ওই বাসিন্দা জমা করান প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা। এরপর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ঢুকছে না এমন অজুহাত দেখিয়ে রোগীর পরিবারকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে ওই নার্সিং হোম কতৃপক্ষ বলে অভিযোগ। যারপরেই ওই মহিলা ও তার স্বামী স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। যার চাপে পড়ে নার্সিং হোম কতৃপক্ষ অর্ধেক টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা আজো ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে দীর্ঘ চারমাস ধরে স্বাস্থ্যদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে কিছুটা হয়রান হয়ে ওই নার্সিং হোম কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বালুরঘাটের ওই মহিলা।

বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী দপ্তরের কনভেনর হাবিব মন্ডলের সাথে এদিন টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত কিছু শুনবার পর বলেন, ব্যস্ত আছেন কথা বলতে পারবেন না। 

রোগী তথা বালুরঘাটের ওই মহিলা অর্পিতা সোম বসাক জানিয়েছেন, তিনি তার টাকা ফিরে পেতে ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ হবেন। বোকা মানুষদের সাথে নার্সিং হোমগুলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এমন ভাবেই প্রতারণা করছেন। যার শিকার তিনি নিজেও হয়েছেন। অদ্ভুতভাবে স্বাস্থ্যসাথী বিভাগের কর্মকর্তারাও নিশ্চুপ রয়েছেন। তাদের কাছে একাধিকবার আবেদন জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের সাথে এধরণের প্রতারণা বন্ধ হওয়া উচিত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here