স্বামী নিজে চোখে দেওড় ও বৌদির অবৈধ সম্পর্ক ধরে ফেলায় তপনের নিমপুরে কোলে শিশু সন্তানকে সামনে শুইয়ে রেখে বৌদি ও দেওড় একসঙ্গে আত্মহত্যা করল

0
604

স্বামী নিজে চোখে দেওড় ও বৌদির অবৈধ সম্পর্ক ধরে ফেলায় তপনের নিমপুরে কোলে শিশু সন্তানকে সামনে শুইয়ে রেখে বৌদি ও দেওড় একসঙ্গে আত্মহত্যা করল শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ১৪ জুন দক্ষিণ দিনাজপুর।স্বামী বৌদির সঙ্গে দেওড় অবৈধ সম্পর্ক হাতেনাতে ধরে ফেলায় কোলের শিশু সন্তানকে সামনে শুইয়ে রেখে পৃথক দুটি দড়িতে দেওরকে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হল বৌদি বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নিমপুর এলাকায়।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসলেও শুক্রবার দুপুরে ময়না তদন্তে জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তপন থানার পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী হওয়া ওই গৃহবধু বৌদির নাম সঙ্গীতা বর্মন (২৩),ও দেওড়রের নাম গদাধর বর্মন (২৫)।তাদের বাড়ি তপন থানার নিমপুর এলাকায়।বছর চারেক আগে মৃত গৃহবধূর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তপন থানার নিমপুরের বাসিন্দা দেবপ্রসাদ বর্মনের সঙ্গে।পেশায় সে কৃষিজীবী,তাদের একটি দেড় বছরের শিশু সন্তানও রয়েছে। মৃতের এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃতদের বাড়িতে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শব্দ পাওয়া যায়।রাত নামতেই সেখানে নিস্তব্ধতা নেমে আসে।শুধু কান্না শব্দ পাওয়া যায় শিশু সন্তানের। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তারা দেখতে পান পৃথক দুটি দড়িতে দেওর ও বৌদির ঝুলন্ত দেহ ঝুলছে,সামনেই মাদুরের উপর শুয়ে রয়েছে শিশু সন্তানটি। সূত্রে জানা গেছে ,বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজ করে বাড়ি ফেরার পরে গৃহবধূর সাথে তার দেওরের ঘনিষ্ঠ হবার বিষয়টি নিজে চোখে দেখতে পান তার দাদা দেবপ্রসাদ বর্মন।যে ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল গৃহবধূ স্বামী দেবপ্রসাদ বর্মন ব ওলে খবর।তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেওড় ও বৌদির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় এলাকাবাসীরা। গৃহবধূ স্বামী দেবপ্রসাদ বর্মন জানিয়েছে,”খুব খারাপ কাজ করেছো ওরা, প্রতিবাদ করেছিলাম মাত্র। পরে দেখলাম দুজনেই মারা গেছে। পুলিশ বিষয়টি দেখুন।” এলাকাবাসী লজ্জা রায় জানিয়েছেন,”কি কারনে এমন ঘটনা ঘটল সেটাই ভাবতে পারছিনা।তবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল বলে শুনেছি।পুলিশ তদন্ত করলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।” বৃহস্পতিবার রাতেই খবর দেওয়া হয় তপন থানার পুলিসকে।পুলিশ সেখানে ছুটে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ ইন্দ্রজিৎ সরকার জানিয়েছেন,”কি কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here