সুকান্তর গড়ে আরএসপির বিপুল জনস্রোতে বাম-ঝড়ের ইঙ্গিত, শিক্ষক নিয়োগ ইশ্যুতে রাজ্য ও কেন্দ্রকে একযোগে তোপ নেতাদের
বালুরঘাট, ৭ এপ্রিল —— সুকান্তর গড়ে আর এসপির সমাবেশে বিপুল মানুষের ঢল! তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে বালুরঘাটে সোমবার আরএসপির ডাকে জেলা সমাবেশে মানুষের ঢল দেখে হতচকিত রাজনৈতিক মহল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা বিজেপির ঘাড়ে নি:শ্বাস ফেলছে বামেদের এই মেজো শরিক বলে দাবি করেছেন অনেকে। শুধু তাই নয় বিধানসভায় ‘শূন্য’ আসনের এই বাম শরিক এদিন রাস্তায় নামিয়ে আনল এমন এক জনতা, যা শুধু অতীত নয়—ভবিষ্যতেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি নেতৃত্বের।
দিনভর শহরময় মিছিল, পোস্টার, ফেস্টুন আর তির্যক স্লোগানে কেঁপে উঠল বালুরঘাট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে সরাসরি রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন নেতারা। পাশাপাশি বিজেপি সরকারের কর্পোরেট ঘেঁষা নীতিরও তীব্র সমালোচনা করে বললেন, “জনগণের নয়, পুঁজিপতিদের সরকার চলছে দেশে।”
যে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আরএসপির রাজ্য সম্পাদক তপন হোড়, জেলা সম্পাদক সুচেতা বিশ্বাসসহ একাধিক নেতৃত্ব। সূচনাতেই শিল্পী সংঘের ‘মরা গাঙে জোয়ার’ গানে উঠে এল আন্দোলনের সুর। পরে বক্তারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন—এ লড়াই শুধুই ভোটের নয়, এ লড়াই অস্তিত্বের।
জেলা সম্পাদক সুচেতা বলেন, “এই জেলা কৃষিনির্ভর। এখানে বৃহৎ শিল্প সম্ভব না হলেও কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান সম্ভব। অথচ কৃষকরা আজও ন্যায্য দাম পান না। বিজেপি কর্পোরেট তোষণ করছে, আর সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে।”
তাপপ্রবাহের মধ্যেও ব্যাপক জমায়েত দেখে কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে নেতৃত্ব। বক্তাদের কণ্ঠে ভেসে আসে বার্তা, “আর ভয় নয়, লড়াই চাই। সামনে ২০২৬, কিন্তু আজকের জমায়েত প্রমাণ করছে—ভবিষ্যতের রূপরেখা নতুন করে লিখতে চলেছে মানুষই।”

















