সরকারী ব্যানারে তৃণমূলের কর্মসূচি!

0
342

সরকারী ব্যানারে তৃণমূলের কর্মসূচি! বিতর্কে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কাটমানি আর সিন্ডিকেট ছাড়া কিছুই বোঝে না কটাক্ষ বিজেপির

বালুরঘাট, ১৩ জুলাই ——-সরকারি ব্যানারে তৃণমূলের দলীয় প্রচার করে বিতর্কে জড়ালেন বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। যে ছবি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনীতির পারদ চড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরে। শনিবার পতিরামের চৌরঙ্গীতে তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাই ধর্মতলা চলো কর্মসূচির প্রস্তুতি সভায় মঞ্চের একাংশে লাগানো ব্যানার ঘিরে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। কারণ, ব্যানার জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, নীচে স্পষ্ট লেখা — ‘প্রচারে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি’। সরকারি পঞ্চায়েত সমিতির নামেই দলীয় কর্মসূচি! সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার।

বিজেপির অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে পঞ্চায়েত সমিতি কার্যত দলীয় পার্টি অফিসের শাখা। জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘সরকার আর পার্টি আলাদা করতে জানে না তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতি ওদের কাছে দলীয় মঞ্চ। কাটমানি, সিন্ডিকেটের বাইরে ওরা কিছুই বোঝে না। ওদের শাসনে সরকার আর দল গুলিয়ে একাকার।’ এর চেয়ে বেশি কিছু তাদের কাছ থেকে আশাও করা যায়না।

বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার অবশ্য এনিয়ে তেমন কিছু দোষ দেখছেন না। তাঁর দাবি, ‘পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগেই অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। তাই ব্যানারে নাম রাখা হয়েছে। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে তুলে ধরা হয়নি।’

তবে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের ভেতরেই বেড়েছে অস্বস্তি। যা নিয়ে দু:খপ্রকাশ করেছেন খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল। তিনি বলেন, এটা হওয়ার কথা ছিল না। দলীয় প্রোগ্রাম দলের তরফেই করা হবে। ভুলবশত এই ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। সরকারী পোস্টার ব্যবহার করে দলীয় প্রচার হবে এটা আমরাও চাই না।

২১ শে জুলায়ের মতো ঐতিহাসিক কর্মসূচিকে সামনে রেখে যখন তৃণমূল সারা রাজ্য জুড়ে প্রচারে ব্যস্ত, তখন সরকারি দফতরের ব্যানারকে সামনে রেখে বালুরঘাটে তৃণমূলের এমন প্রচারে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়লো বলেই মনে করছেন অনেকে। শাসকদলের সরকার আর দল গুলিয়ে ফেলার যে সংস্কৃতি তা ফের একবার প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here