সরকারী দফতরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। জানালা ভেঙ্গে বংশীহারী বিএলআরও অফিসে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডপ, অফিসার সমস্ত দরজার তালা ভাঙ্গ রয়েছে । যদিও কোনো নথি চুরি হয়নি বলে জানিয়েছে বিএলআরও, তদন্তে পুলিশ। পুরো ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
প্রতিদিনের মতোই বৃস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ বিএলআরও অফিসারের উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বংশীহারী সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অফিসে তালা বন্দী করেন গ্রুপ ডি-র আধিকারিক বিধান টুডু। প্রতিদিনের মতোই শুক্রবার বেলা ৯ টা নাগাদ অফিসে এসে তালা খুলে দেন গ্রুপ ডি-র কর্মী বিধান টুডু। তালা খুলে অফিসের ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাজ। বংশীহারী ভূমি সংস্কার আধিকারিক দপ্তরটি দুই তলা বিশিষ্ট। নিচু তোলার ৩ টি ঘরের তালা ভেঙে সমস্ত জিনিস এলো মেলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছিল। নিচু তোলার বিএলআরও অফিসারের ঘর, কম্পিউটার সেকশন সহ অফিসারদের বসার ঘর তোচ নোচ হয়ে ছিল। দুই তালাতেও সমস্ত ঘরের তালা ভাঙ্গা অবস্থায় পরে ছিল। রেকর্ড রুম, সার্ভার রুম, অফিসার রুম, ম্যাপ সেল রুম, পাট্টা রুম, কম্পিউটার সেকশন সহ ভোল্ট রুম এলো মেলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় বংশীহারী বিএলআরও অফিসার মলয় চক্রবর্তী কে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিএলআরও অফিসার মলয় চক্রবর্তী খবর পেয়ে ছুটে আসেন এস ডি এল আর ও অফিসার নড়বু ইয়ালম। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বংশীহারী থানার পুলিশ। অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে আলমারির ভিতরে একটি ল্যাপটপ ছিল কিন্তু সেই ল্যাপটপ টিও চুরি হয়নি অফিস থেকে। তাহলে কি কারণেই এরকম দুঃসাহসী ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সরকারী দফতরে নেই কোনো নাইট গার্ড, নেই কেনো সিসিটিভি ক্যামেরা উঠেছে প্রশ্ন।
এই বিষয়ে গ্রুপ-ডি আধিকারিক বিধান টুডু জানিয়েছেন আমি সকাল ৯ টা নাগাদ অফিসে তালা খুলে দেখতে পাই অফিসের ভিতরে দরজার তালা ভাঙ্গা রয়েছে। সমস্ত দরজা খুলা রয়েছে আলমারি ভেঙে দিয়েছে। অফিসের কাগজ পত্র এলোমেলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অফিসের পিছনে জানালার শিক ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢুকে এরকম কাজ করেছে। পুরো ঘটনায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
যদিও বিএলআরও মলয় চক্রবর্তী জানিয়েছে আমাদের দফতর থেকে কোনো কিছু চুরি হয়নি। আর আমাদের অফিসের সমস্ত কিছু অনলাইনে কাজ কর্ম হয়, কিন্তু এই দফতরে টাকা যে থেকে না সেটা হয়তো দুষ্কৃতীদের অজানা ছিল। আমাদের দফতর থেকে এখনো কোনো কিছু চুরি হয়েছে কি না সঠিক বুঝা যাচ্ছে না। তবে এই সব কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।