হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের মসুনগ্রামে সরকারি ভেস্টের জমি গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে,ঘটনা নিয়ে হল মামলাও,অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তদের,শোরগোল হরিরামপুরজুড়ে
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৬ই এপ্রিল।সরকারি ভেস্ট জমি গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।ঘটনা নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলাও।এমন ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের মসুন গ্রামে।এলাকাবাসীদের অভিযোগ,”প্রেমচাঁদ নুনিয়ার ক্ষমতা বলেই তার কিছু কাছের লোকজন বলে পরিচিত তারা তা বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।সরকারি জমি গ্রামবাসীরা সেখানে শ্মশান তৈরি করবে বলে দাবি জানিয়ে আসছিল প্রশাসনে গ্রামবাসীদের তরফে।স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান,ব্লকের ভূমি সংস্কার দপ্তরে বিষয়টি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। দপ্তর গ্রামবাসীদের বিষয়টি অন্ধ করে দেখে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।যদিও হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে। হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুসনগ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া তার বেশ কিছু পরিচিত মানুষজনকে নিয়ে উক্ত এলাকায় বেশ কয়েক শতক ভেস্ট জমি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন মোটা টাকার বিনিময়ে।যে ঘটনা গ্রামবাসীরা জানতে পেরেই প্রেমচাঁদ নুনিয়া সহ তার ঘনিষ্ট সাতজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এলাকার গ্রামবাসী তথা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য লিপি সরকার,গ্রামবাসী তথা হরিরামপুর ব্লক কৃষাণ খেতমজদুরের সহ-সভাপতি হেমন্ত সরকার,গ্রামবাসী দুলাল সরকার,বিষ্ণু মাহালদায়েরা অভিযোগ করে বলেন,”এমন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সাতজনের নামে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক সেই দাবি জানাই।” গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নাসরিন জাহান জানিয়েছেন,”বিষয়টি জানতে পেরেছি আপনাদের কাছ থেকেই।খোঁজ নিয়ে দেখে প্রশাসনকে বিষয়টি জানাবো।” হরিরামপুর ব্লকের ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন,”বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া সহ তার ঘনিষ্ট লোকজন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”আমি সততার সঙ্গেই কাজ করি।মিথ্যা কথা বলছে গ্রামবাসীরা, প্রশাসন তদন্ত করলেই তা পরিষ্কার হবে। হরিরামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে,সাতজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।”