শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর ,৫ জুলাই, দক্ষিণ দিনাজপুর:-কোভিড়ের মধ্যে অফিসে জমির দলিল রেজিষ্টি করার নিয়ম চালু হতেই মহুরিদের দুপক্ষের মধ্যে চরম গোলমাল শুরু হয়ে যায়৷একপক্ষ যখন চাইছে সরকারি নিয়ম পালন করতে, তখন অপর পক্ষ সেই নিয়ম না মেনে মহিলা পাঠিয়ে আগে কাজ করার জন্য গোলমাল পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের সোমবার দুপুরে বুনিয়াদপুর রেজিষ্টি অফিসের পিড়তলাতে।যদিও মহুরিদের সংগঠনের তরফে একপক্ষের তরফে সরকারি নিয়ম মানার কথা বলা হলেও অপর পক্ষের একজন সাংবাদিক শুনেই কেন এখানে আসা হয়েছে তাঁর কৌফত তলফ করেন। অভিযোগ উঠেছে, যদি মহুরিদের সংগঠনের তরফে নিয়ম মেনে কাজ করার কথা জানানো হলেও অপর পক্ষের একজন কিভাবে মহিলাদের অফিসে পাঠিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সেই প্রশ্নই তুলেছেন অনেকেই। যদিও রেজিষ্টারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সেভাবে কিছু বলতে চাননি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থতি আয়ত্বে আনে৷ঘটনায় ব্যপক শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে৷ কোভিডের মধ্যে সরকারি নিয়মে রেজিষ্টি অফিসে প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু দলিল রেজিষ্ট হবে বলে দপ্তর থেকে জানানো হয়৷ মহুরিদের একপক্ষ সেই নিয়ম মেনে নিলেও দলিল রেজেষ্টি বেশি করানোর দাবিতে সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু করে পিড়তলা রেজিষ্টি অফিসের দলিল কে সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ পিড়তলা রেজিস্ট অফিসের দলিল লেখক সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের সংগঠনের সদস্য নয় বলে দাবি করে বংশীহারী ব্লকের দৌলতপুর বাসিন্দা হাফিজুর রহমান নামে একজন সেই নিয়ম না মেনে মহিলাদের পাঠিয়ে দলিল রেজিষ্টি করার ঘটনায় গোলামাল শুরু হয়ে যায়।দুপক্ষের গোলমালে প্রথমে হাতাহাতি,পরে পারপিঠের রূপ নেয়। অভিযোগ হাফিজুর রহমানের সঙ্গে থাকা তাঁর এক সহযোগী যুবক বারবার অপরপক্ষকে হুমকি দিতে থাকোযে ঘটনা বুনিয়াদপুর শহরের পিড়তলা এলাকায় ২০ মিনিটে ধুমধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।বংশীহারী থানা থেকে পুলিশকে পর্যন্ত আসতে হয়।
রেজিষ্টি অফিসের দলিল লেখক জবাইদুর রহমান হাফিজুর রহমান তাঁর দলিল লেখক সংগঠনের কেউ নয় বলে দাবি করে জানিয়েছেন, আমরা আন্দোলন করছি দাবি আদায়ে আর ওরা আমাদের সঙ্গে গোলমাল পাকাচ্ছে।

দলিল লেখক সমিতির অন্যতম সদস্য শ্যামলেন্দু চৌধুরী বলেন, নিয়ম মেনেই আমরা কাজ করতে চাইছি। কিন্তু এখন দেখছি মহিলা পাঠিয়ে গোলমাল পাকাতে চাইছে ওরা। এমন বিষয় ঠিক ঘটনাটি কি হয়েছে আপনার কাছে জানতে চাই বলতেই তাঁর এক সহকর্মী জানালেন,আপনি কে,সাংবাদিক শুনেই কেন এখানে আসা হয়েছে তাঁর কৌত তলফ করেন তাঁর এক সহকর্মী৷
তবে হাফিজুর রহমান ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি সাংবাদিক শুনে। পরে বংশীহারী থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থতি আয়ত্বে আনে৷
প্রশ্ন উঠেছে রেজিষ্টারের নজর এড়িয়ে কিভাবে হাফিজুর রহমান ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে এমন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই। রেজিষ্টার এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।ঘটনায় শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে। |