চাঁচল:১৯ জুলাই:-বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিল রাজ্যে।তবে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তীতে উল্টো স্রোত বইতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সম্প্রতি,বিজেপি ছেড়ে অনেকেই পুনরায় তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।এবার বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় দুই শতাধিক বিজেপি ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।রবিবার সন্ধ্যায় মালদহের চাঁচল বিধানসভার চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর সংসদে বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় দুশো র বেশি মহিলা ও পুরুষ কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ।চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আজমেরী খাতুন উদ্যোগে ওই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁচল-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি সচিদানন্দ চক্রবর্তী,তৃণমূল নেতা মোক্তার হোসেন,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমিতেশ পান্ডে সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বরা।

তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে,চাঁচল-১ নং ব্লকের শ্রীরামপুর সংসদটি দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের দখলে ছিল।মাস খানেক আগে ওই সংসদের মেম্বারও যোগদেন তৃণমূলে।তারপরেই বাজিমাৎ,রবিবার গোটা গ্রাম নাম লেখালো শাসক শিবিরে।এমনটাই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

গেলো বিধানসভা নির্বাচনে চাঁচল বিধানসভায় বিপুল ভোটে জয়ী হই তৃণমূল কংগ্রেস।কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে অবশেষে এবার ফুটেছে ঘাসফুল।
চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ জানান, তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে এই যোগদানের হিড়িক।এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কোন উন্নয়নের প্রলেপ পড়ছিল না।রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছিল।তৃণমূল কংগ্রেস চাঁচল পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করার পর একাধিক কাজ হয়েছে। এখানকার মানুষ চাই আরোও উন্নয়ন তাই তারা স্বইচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলো। দু’শোর বেশি মহিলা ও পুরুষ তৃণমূলে যোগদান করেন।তাদেরকে আমরা দলে স্বাগত জানাচ্ছি।

তৃণমূলে যোগদানকারী এক মহিলা পাঞ্চালি রায় দাস জানান,রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী প্রকল্পের আমরা সুবিধা পেয়েছি,এছাড়াও মহিলাদের জন্য নানান প্রকল্পের সূচনা করেছেন তৃণমূল সরকার তাই আমরা স্বইচ্ছায় তৃণমূলে যোগদান করলাম।আগামীতে আশা রাখছি এলাকায় উন্নয়ন হবে।যদিও যোগদানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি ও কংগ্রেস।তবে এই যোগদানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে বলে আশাবাদী তৃণমূল নেতৃত্ব।