সবজি বাজারে পা রাখলেই মোবাইল গায়েব!

0
198

সবজি বাজারে পা রাখলেই মোবাইল গায়েব! বালুরঘাটে মোবাইল চোরের গ্যাং, আতঙ্কে বাজারপ্রেমীরা

বালুরঘাট, ১৩ জুলাই ——- বাজারে ভিড়, পকেটে ফোন, কিন্তু সাবধান! পকেট আছে, ফোন নেই—এই চিত্র এখন বালুরঘাটের তহবাজার, পাওয়ারহাউসে রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে প্রবল দাপট নতুন মোবাইল চোরের গ্যাংয়ের। রবিবারেই শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত—একদিনে পাঁচটি মোবাইল চুরি। আতঙ্কে প্রহর গুনছেন বালুরঘাটবাসী। পকেট সামলে, ব্যাগ আঁকড়ে বাজারে ঢুকতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবুও রক্ষা নেই।

তহবাজারের ঘটনা আরও চাঞ্চল্যকর। খাদিমপুরের বাসিন্দা, লেখক-শিক্ষক সনাতন পাল রবিবার সকালে তহবাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন। বাজারের মুখেই ঠাসাঠাসি ভিড়। বেরোতেই টের পান, বুক পকেট ফাঁকা। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল রিং করলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই সুইচ অফ। তিনি বললেন, ‘বাজারের গলিতে পা রাখার পরই চোখের নিমেষে ফোন গায়েব! শুধু আমি নই, আরও পাচজনের মোবাইল চুরি হয়েছে বলে শুনেছি। এভাবে চলতে থাকলে তো বাজারে ঢোকাই মুশকিল!’

শহরের বাজারগুলোতে এই চক্র কবে থেকে সক্রিয়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা। তবে অভিযোগ, রবিবারের ভিড়েই মূলত তারা সক্রিয়। ভিড়ের অজুহাতে, ঠেলাঠেলির ফাঁকেই পকেটে হাত ঢুকিয়ে নিখুঁত কায়দায় সরিয়ে দিচ্ছে দামি স্মার্টফোন।

বালুরঘাট থানায় একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ছে। পুলিশ বলছে, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত হচ্ছে।’ কিন্তু তাতে আশ্বস্ত নন কেউ। শহরবাসীর স্পষ্ট দাবি, ‘পুলিশি টহল বাড়াতে হবে। সাদা পোশাকে নজরদারি চাই। না হলে বাজার মানেই ফোন চুরির আতঙ্ক!’

বালুরঘাট সদর ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ জানান, ‘অভিযোগ জমা পড়লে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

একাধিকবার মোবাইল উদ্ধার হলেও গ্যাং পুরোপুরি ধরা পড়েনি। ফলে শহরে মোবাইল চোরের ‘অজানা সাম্রাজ্য’ ক্রমশই ভয় ধরাচ্ছে বাজারপ্রেমীদের। সবজি কেনা আর ফোন খোয়া—দুটোই যেন এখন হাত ধরাধরি করে চলছে বালুরঘাটের বাজারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here