সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে বিজেপির ডাকা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ বালুরঘাটে

0
447

সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে বিজেপির ডাকা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ বালুরঘাটে, গৌতম দাসের নেতৃত্বে ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে সবুজ আবীর উড়িয়ে উচ্ছ্বাস তৃণমূলের

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১২ আগষ্ট—  প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমান করতে না পারায় ব্যাকফুটে পড়লো বিজেপি। অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করলো প্রশাসন। সবুজ আবীর উড়িয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লো তৃণমূল নেতৃত্বরা। বৃহস্পতিবার  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের। দিনভর টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে জেলা সভাপতি গৌতম দাসের নেতৃত্বে পঞ্চায়েতের রাশ ধরে রাখে তৃণমূল। সবুজ আবীর মাখিয়ে প্রধান মল্লিকা কর্মকার সুত্রধরকে তার চেয়ারে বসান জেলা তৃণমূল সভাপতি। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিজেপির ডাকা ওই অনাস্থাকে ঘিরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ঘোষণা হতেই বাজি ফাটিয়ে ও সবুজ আবীর উড়িয়ে এলাকায় মিছিলও করেন উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতা কর্মীরা।

    জানাগেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতে কুড়িটি আসনের  মধ্যে  বিজেপি পায় ১১ টি, তৃণমূল ৬ টি পেলেও বামফ্রন্ট তিনটি আসন জয়লাভ করে। যারপরেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসাবে ওই পঞ্চায়েতে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন মল্লিকা কর্মকার সূত্রধর। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের  পরে প্রধান বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। যারপর থেকেই ওই পঞ্চায়েতে শুরু হয় একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। বিধানসভা নির্বাচন পার হতেই ওই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিজেপি। এদিন ছিল তার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। কিন্তু অনাস্থা ভোটে তৃণমূল ও বামফ্রন্টের সদস্যরা কেউই উপস্থিত না থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেয় প্রশাসন। বিজেপির ১০ সদস্যের মধ্যে এক সদস্য দীপালি মার্ডিও এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল তাকে অপহরণ করেছে।

    জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, আগামীতে বিজেপির উপপ্রধান এবং অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে তৃণমূল অনাস্থা আনবে। একমাসের মধ্যেই তড়িৎ গতিতে শুরু হবে উন্নয়নের কাজ।

    প্রধান মল্লিকা কর্মকার সুত্রধর জানিয়েছেন, দল তার সাথে আছে। উন্নয়নের কাজে কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না।

  বিজেপির উপপ্রধান সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, বিজেপির ৯ জন সদস্য উপস্থিত হলেও তৃণমূল ও বামফ্রন্টের কেউ উপস্থিত না থাকায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমান হয়নি। আর সেই কারনেই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেছে। দলের সাথে আলোচনা করে আগামীতে আইনের দারস্থ হবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here