শ্রাবণ মাস পড়তেই চুড়ি কেনার হিড়িক মহিলাদের মধ্যে

0
337

শিলিগুড়ি:-

এক সময় রেশমি চুড়ির নাম শুনলে ঝাঁকে ঝাঁকে দৌড়ে আসতেন গ্রামবাংলার মহিলারা।কিন্তু ট্রেন্ডি জমানায় ব্রেসলেট এবং রিস্ট ব্যান্ড যেন চুড়ির চাহিদা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।তবে শ্রাবণ মাস পড়তেই চুড়ি কেনার হিড়িক মহিলাদের মধ্যে।আর এতেই লাভের মুখ দেখছেন চুড়ি বিক্রেতারা।শহর লাগোয়া এলাকায় প্রায় প্রচুর ফেরিওয়ালা চুড়ি বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন।তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিনিঝিনি শব্দে হাতভর্তি রেশমি চুড়ির আওয়াজ আকৃষ্ট করছে তরুণীদেরও।রেশমি চুড়ি,লাঠি চুড়ি,গোপী চুড়ি,নকশা চুড়ি সারা বছর শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া গ্রাম ঘুরে ঘুরে ফেরি করেন অনেক ফেরিওয়ালা।তবে সারা বছর বিক্রি কম হলেও শ্রাবণ মাস পড়তেই চুড়ি কিনতে ঝোঁক বাড়ায় খুশি বিক্রেতারা।এদিন বাগড়াকোটের এক চুড়ি বিক্রেতা বললেন,’বেঁচে থাকার লড়াই অনেক কঠিন।প্রায় তিন পুরুষ ধরে চুড়ি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত।৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা ডজনে মাসের ১৫ দিন বাড়ির সামনে এবং ১৫ দিন ফেরি করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে চুড়ি বিক্রি করি। সোমবারে বিক্রি বেশি হয়।’চম্পাসারি সমরনগরের চুড়ি বিক্রেতা মেহবুব আলমের কথায়,’বিহার থেকে আগত অনেক ফেরিওয়ালা চুড়ি বিক্রি করে সংসার চালান।চুড়ি শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না,চুড়ি আমাকে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে।’এদিন শহরের একাধিক চুড়ির দোকান ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাঁরা হাতভর্তি রেশমি চুড়ি পরতে পছন্দ করেন।পাশাপাশি,পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকে চুড়ি কেনেন।এদিন মহাবীরস্থানের পাইকারি চুড়ি বিক্রেতা প্রশান্ত সাহ বলেছেন,‘মাটিগাড়া,চম্পাসারি,শালুগাড়া,আমবাড়ি,ফাপড়ি থেকে অনেকেই কমবেশি পাইকারি দরে চুড়ি নিয়ে যান।তবে শ্রাবণ মাসে চাহিদা একটু বেশি থাকে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here