শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারনে বাড়তে শুরু করল কোচবিহার তোর্সা নদীর জল ।

0
413

কোচবিহার:-শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারনে বাড়তে শুরু করল কোচবিহার তোর্সা নদীর জল । তোর্সা নদীর জল বাড়ায় আতঙ্কে কোচবিহার শহর লাগুয়া ফাসির ঘাট এলাকায় বাঁধের নিচে এবং চর এলাকায় থাকা বাসিন্দারা ।এই এলাকায় বসবাস কোচবিহার শহরের 16 এবং 18নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ।প্রতি বছর তোরসা নদীর জল বাড়ার কারণে নদী ভাঙ্গনে সমস্যায় পড়ে এই এলাকার মানুষ । নদীগর্ভে চলে যায় প্রচুর বাড়িঘর । আবার তোর্সা নদীর জল বাড়ায় আতঙ্কে এলাকার মানুষ ।তাই আগে থেকে প্রশাসন পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলেও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । এই বিষয় নিয়ে সেচ দপ্তরের সাথে কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের নিখিল রঞ্জন দে ।

        কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের কোচবিহার শহর । কোচবিহার শহর লাগোয়া বাঁধের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে তোর্সা নদী । শহর লাগোয়া ফাঁসির ঘাট এলাকায় বাধের পাশে এবং তোরসা নদী চর এলাকায় বসবাস রয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসবাস রয়েছে । যারা সাধারণত কোচবিহার শহরের 16 এবং 18 নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার । তবে প্রতিবছর তোরসা নদীর জল পড়ার কারণে এই এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ছেড়ে মানুষের বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যায় । সেই সময় প্রাথমিকভাবে তারা বাঁধের উপর আশ্রয় নেন । সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো । এলাকা পরিদর্শনে যান প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে রাজনীতিক প্রতিনিধিরাও । আশ্বাস দেওয়া হয় । তবে পরিস্থিতি সামান্য হলে কেউ খোঁজ রাখে না এই এলাকার মানুষের ।
       আবার নতুন করে শুরু হয়েছে বৃষ্টি । ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে তোরসা নদীর জল । তাতে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষ । নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে সাধারণ মানুষ আবার সমস্যায় পড়বেন । তবে প্রশাসনিকভাবে বন্যার আগে যদি কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তাহলে হয়তো সমস্যা অনেকটাই কমবে। তবে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আগামী দিনে তোরসা নদীর ভাঙ্গনের ফলে যে বাধা রয়েছে সেই ভাবে চলে আসবে তোরসা নদী । একদিকে যেমন এই পরিবার গুলোর ঠিকানা বলে কিছু থাকবে না ঠিক তেমনি তোরসা নদী একেবারে বাদ সংলগ্ন চলে আসার কারণে সমস্যায় পড়বে শহরের মানুষ । কারণ বাঁধের ও ক্ষতি হতে পারে । তাই আগের থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করুন করা হলে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে বাঁধ । তাই জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার বলেই মনে করেন এলাকার মানুষ ।
      এ বিষয়ে যদিও কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে জানিয়েছেন, সমস্যাটা প্রতি বছরের । এতই বিষয়টি নিয়ে শেষ দপ্তরের সাথে কথা বলবেন তিনি ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here