উত্তর দিনাজপুর:-লকডাউনের জেরে ভুট্টা চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাষীরা। একেতেই অতি বৃষ্টিতে ফলন কম তার উপর লকডাউনের কারনে বাইরের পাইকাররা না আসায় স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ভুট্টা। অনেক চাষীই ঋন ধার করে ভুট্টা চাষ করে এখন চাষের খরচই উঠছেনা মহাজনের ঋন পরিশোধ করবেন কিভাবে তা নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভুট্টা চাষীরা। মাঠেই গাছেই ঝুলে পড়ে রয়েছে পাকা ভুট্টা।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় ধান গম চাষের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে ভুট্টা চাষ হচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ ও করনদিঘী ব্লকে। মূলত পাট চাষের পরিমান কমে গিয়ে লাভজনক ভুট্টা চাষ করেন কৃষকেরা। গ্রামের পর গ্রাম ক্ষেতজুড়ে হয়েছে ভুট্টার ফলন। কিন্তু করোনা দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রাজ্য সরকারের ডাকা মাসখানেক ধরে লকডাউনের জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন ভুট্টা চাষীরা। রায়গঞ্জ ব্লকের উৎপাদিত ভুট্টা জেলার বাইরে ও কলকাতাতেও পাইকারি বিক্রি করেন চাষীরা। কিন্তু লকডাউনের কারনে বাইরের পাইকাররা রায়গঞ্জে না আসায় বাইরে বিক্রি করতে পারছেন না তাঁরা। ফলে রায়গঞ্জের বাজারে অতি স্বল্পমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ভুট্টা চাষীরা।
রায়গঞ্জের ভুট্টা চাষী শুভঙ্কর বিশ্বাস ও অমিত মজুমদাররা জানান, লকডাউনের কারনে বাইরে থেকে পাইকাররা না আসায় খুবই কম দামে রায়গঞ্জের বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ভুট্টা। মহাজনের কাছ থেকে ঋন ধার করে চাষ করে এখন দাম না মেলায় ফসলের দামই উঠছেনা। অনেক কৃষকের ভুট্টার ফলন মাঠে পড়ে থেকেই নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই আবার বাইরের পাইকাররা না আসায় অত্যন্ত কম দামে স্থানীয় বাজারেই বিক্রি করে দিচ্ছেন লাভজনক ফসল ভুট্টা। চাষের খরচই উঠছেনা কি করে মহাজনের ঋন পরিশোধ করবেন তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রায়গঞ্জ সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের ভূট্টা চাষীরা।