রাস্তা তৈরীর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় ফেটে যেতে দেখে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা

0
278

অবাক করা ঘটনা। রাস্তা তৈরীর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় ফেটে যেতে দেখে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা। নিম্নমানের রাস্তা তৈরি করবার অভিযোগ গ্রামবাসীদের, স্লাব তৈরি করার নামে ঠিকাদার গ্রামবাসীদের কাছ টাকা আদায় করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কইল রায়পাড়া এলাকার ঘটনা।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কইল রায়পাড়া এলাকায় ২০০ মিটারের সিমেন্ট কংক্রিট রাস্তা নির্মাণ করার কাজ শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। সম্পূর্ণ রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। এই রাস্তাটি নিরাশ বর্মার বাড়ি থেকে নৃপেন বর্মনের বাড়ি পর্যন্ত ২০০ মিটারের রাস্তাটি ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯০২ টাকা খরচে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ রাস্তা তৈরী করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গিয়েছে। কোন জায়গায় রাস্তাটি সমান ভাবে ঢালাই করা হয়নি। ঢালায় রাস্তাটিতে নামার বা ওঠার কোন রকম স্লাব তৈরি করা হয়নি। অতি নিম্নমানের রাস্তার কাজ হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। নিম্নমানের রাস্তার কাজ না হলে ঢালাই করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই ঢালাই বিভিন্ন জায়গায় ফেটে কেন গিয়েছে? এছাড়াও স্লাব তৈরি করার নামে ঠিকাদার গ্রাম বাসীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। যারা যারা টাকা দিয়েছে তাদের বাড়ির সামনে স্লাব তৈরি করে দিয়েছে ঠিকাদার। গরীব মানুষ টাকা দিতে নারাজ হয়েছে বলে তাদের বাড়ির সামনে স্লাব তৈরি করে দেওয়া হয়নি এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পুনরায় সেই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পুরো ঘটনা খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বুনিয়াদপুর শহরের চেয়ারপারসন কমল সরকার। অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বর্মন তার নিজের লোকজনকে দিয়ে কাজ করতেন বলে এমনটা হয়েছে। ভোটের মুখে এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বুনিয়াদপুর শহর সহ ৯ নাম্বার ওয়ার্ডে।

এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিমান সরকার, টুলি অধিকারী, পনিতা সরকার অভিযোগ করে জানিয়েছে গতকাল শুক্রবার নতুন রাস্তা ঢালাই করা হয়েছে। শনিবার সকালে আমরা দেখতে পাই জায়গায় জায়গায় ঢালাই রাস্তা ফেটে গিয়েছে। একদম নিম্নমানের রাস্তার কাজ করানো হচ্ছে এমনটাই আমাদের মনে হচ্ছে। নিম্নমানের রাস্তার কাজ না হলে রাস্তা ঢালাই এর ২৪ ঘন্টা না পার হতেই বিভিন্ন জায়গায় ফেটে ফেটে যায় কেমন করে। এছাড়াও যাদের যাদের বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা গিয়েছে তাদের বাড়ির সামনে স্লাব তৈরি করতে টাকা নিয়েছে ঠিকাদার। যারা টাকা দেইনি তাদের বাড়ির সামনে স্লাব তৈরি করে দেওয়া হয়নি। আমরা চাই ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা পুনরায় তৈরি করা হোক। ফেরত দেওয়া হোক স্লাব তৈরি করার মানে নেওয়া টাকা।

এই বিষয়ে বুনিয়াদপুর শহরের চেয়ারপার্সন কমল সরকার জানিয়েছেন পুরো ঘটনায় তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা না হবে। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে পুনরায় সে রাস্তা সংস্কার করে দেওয়া ব্যবস্থা করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here