রাইস মিল মালিকদের মিলের জল গড়ানোর ড্রেন তৈরি হয়নি মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাসের প্রায় ৪বছর পরেও

0
80

রাইস মিল মালিকদের মিলের জল গড়ানোর ড্রেন তৈরি হয়নি মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাসের প্রায় ৪বছর পরেও,ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মিলের পাশে থাকা কৃষকেরা,সমস্যা সমাধানে আসার মন্ত্রী ও জেলা শাসকের

শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ৫ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার প্রায় ৪বছর পরেও রাইস মিল মালিকদের মিলের জল গড়ানোর ড্রেন তৈরি না হওয়ায় ১০টি বেশি রাইস মিল বন্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ফুলবাড়ী থেকে গচিহার পর্যন্ত রাইস মিল মালিকদের মিলের নোংরা জল কৃষি জমিতে যাবার ফলে ফসল উৎপাদন হচ্ছে না বলে কৃষকদের অভিযোগ। সরকার ও মিল মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা অনড় রয়েছেন।রাইস মিল মালিকদের অভিযোগ,জেলা প্রশাসনে বিষয়টি জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বহু দিন পরেও।রাজ্যের মন্ত্রী অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন সমস্যা সমাধানের।জেলাশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাইস মিল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে,জেলাতে প্রায় ৩২টি রাইস মিল রয়েছে। গঙ্গারামপুর থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্তই প্রায় ১০ রাইস মিল রয়েছে।জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রায় ৫বছর আগে প্রশাসনিক বৈঠক করতে বুনিয়াদপুরের নারায়নপুর এসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন জেলার রাইসমিল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি আলোচনাও হয়েছিল।রাইস মিল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, সেই মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন গঙ্গারামপুর থেকে ফুলবাড়ী পর্যন্ত যে ১০টি বড় বড় রাইস মিল রয়েছে তাদের মিলের সামনে দিয়ে হাইড্রেন তৈরি করে মিলের যাবতীয় জল গড়ানোর ব্যবস্থা করার।জল গচিহারের ক্যানেল দিয়ে বের হয়ে গেলে রাইস মিল মালিকদের নোংরা জল কোন প্রভাবই পড়বে না আশপাশে জমিগুলোতে বলে খবর। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাইস পিন অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম নেতা অশোক জোয়াদ্দার বলেন,”সমস্যার বিষয়টি বারবার জানানো হয়েছে জেলাশাসককে।মিলের জল জমিতে যাওয়ার ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে উক্ত এলাকার কৃষকেরা।তারা ক্ষতিপূরণে দাবি করেছে।আমরা চাই এলাকায় হাইড্রেন তৈরি হোক”। রাইস মিল গুলির পাশে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বিমল এক্কা, সমিতি টুডু, সরস্বতী টুডু, জনতি কুজুরেরা অভিযোগ করে বলেন,”বেশ কয়েক বছর ধরে মিলে নোংরা জলে দুই ফসলি জমি আর চাষ করা হচ্ছে না। প্রশাসন ও মিল মালিকদের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং হাইড্রেন করার দাবি জানাই। রাজ্যের ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন, সমস্যা যেন সমাধান করা যায় সে বিষয়ে জেলা শাসকের সাথে তিনি কথা বলবেন “। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন,” মিল মালিকপক্ষ দেখা করতে এসেছিলেন,সমস্যা যেন মেটানো যায় তার চেষ্টা করা হবে”। এখন দেখার এটাই যে,আদতেও কি এই সমস্যা কিভাবে মিটবে সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here