জলপাইগুড়ি:-
মৃত্যুর দেশ থেকে বেচে ফিরেছেন, কিন্তু আতংক পিছু ছাড়ছে না দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রী সঞ্জয় পালের। মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয়বাবু । দমদম এয়ারপোর্টে, এয়ার ইণ্ডিয়াতে কর্মরত। জলপাইগুড়িতে পুলিশ লাইন সংলগ্ন রেসকোর্স পাড়ায় তার শ্বশুরবাড়ি। জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন দিনকয়েক আগে। সোমবার কর্মস্থলে ফেরার কথা ছিলো তার। । সেই জন্য আজ সকালেই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সেপ্রেসে চেপেছিলেন শিয়ালদহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে। রাঙপানির কাছে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হন। পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল তার চিকিৎসা হয়। চিকিৎসক ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি ভর্তি হননি। জলপাইগুড়ি ফিরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। বা হাতে চোট পেয়েছেন তিনি। ছিলেন ট্রেনের S7 কামরায়। দুই ট্রেনের সংঘর্ষের অভিঘাতে তিনি আপার বার্থ থেকে নীচে ছিটকে পড়েন। হাতে চোট পান। নিজেই কোনরকমে বেরিয়ে আসেন কামরা থেকে। বেরিয়েই দেখতে পান দেহের সারি আর আহতদের আর্তনাদ। তার দাবি, যা বলা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা তার থেকে অনেক বেশী। এদিন রাতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ও তার মুখে সেই আতংকের ছাপ লেগে ছিলো। দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে হবে তাকে। তবে আতংক কাটা না অবধি তিনি আপাতত ট্রেনে চড়বে না বলেই জানিয়েছেন। মৃত্যুর দেশ থেকে বেচে ফিরলেও এই দু:সহ স্মৃতি তাকে তাড়া করে আজীবন।