মাত্র দেড় বছরেই গায়েব পাকা রাস্তা! এক হাঁটু কাদা-জলে নরকযন্ত্রণা তপনে, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের

0
104

মাত্র দেড় বছরেই গায়েব পাকা রাস্তা! এক হাঁটু কাদা-জলে নরকযন্ত্রণা তপনে, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের

বালুরঘাট, ২১ জুন ——ঢালাই পড়েছিল ঢাক বাজিয়ে, ছবি উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আজ সেখানে ঢালাই তো দূরের কথা—এক হাঁটু কাদা-জলে ভরা জলকাদার রাস্তা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের যদুপুর হাড়িপাড়া গ্রামে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন উঠছে—এই রাস্তা আদৌ কখনও পাকা হয়েছিল?

স্থানীয় রামপাড়া চ্যাচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মাত্র দেড় বছর আগে নির্মাণ হয় এক কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা ঢালাই রাস্তা। আজ সেই রাস্তার হদিশ নেই। বর্ষা এলেই রাস্তাটি ডুবে যায় কাদা ও নোংরা জলে। পা ফেললেই যেন হাঁটু পর্যন্ত দেবে যাচ্ছে। অথচ প্রতিদিন শতাধিক মানুষ—স্কুলপড়ুয়া থেকে বৃদ্ধ, রোগী থেকে প্রসূতি মহিলা—এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়েছিল মাত্র দেড় বছর আগে। কিন্তু কাজের শুরু থেকেই ছিল অনিয়ম আর গাফিলতির ছাপ। নিচু মানের সামগ্রী দিয়ে, তড়িঘড়ি করে দায়সারা ভাবে তৈরি হয়েছিল রাস্তা। আর তাই এক বর্ষাতেই তা যেন মাটি হয়ে গিয়েছে।
গ্রামের এক বাসিন্দা হরেন ভুইমালী ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “পাকা রাস্তা তো দেখিনি, বরং কাদা মেখে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। এত দুর্ভোগেও কেউ ফিরেও তাকায় না। এটা রাস্তা না জলাশয় বুঝতে পারি না।”

আর এক স্থানীয় বাসিন্দা, দেবু ভুইমালীর ক্ষোভ, “বর্ষায় কাদা, শুষ্ক কালে ধুলোর ঝড়। এই রাস্তা দিয়ে হাঁটা মানে শরীর নিয়ে জুয়া খেলা। তবুও পঞ্চায়েত নির্বিকার!”

পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী রায় অবশ্য দাবি করেছেন, কেউ এখনও অভিযোগ জানায়নি। তাঁর বক্তব্য, “লিখিত অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।”

তবে এই ‘উত্তর’ ঘিরেই বেঁকে বসেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের সাফ কথা—এবার আর মুখ বুজে বসে থাকা নয়, ভোটের আগেই রাস্তায় নামবেন তাঁরা। হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে ব্লক অফিস ঘেরাও করবেন, প্রশাসনের টনক না নাড়লে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

পাকা রাস্তা ছিল, আজ নেই। দায় কার? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে গোটা হাড়িপাড়া। আর সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার তারা নামছে রাস্তায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here