মধ্যরাতে দাদাগিরি! সরকারী গাড়িতে অর্ধনগ্ন সভাপতির স্বামী, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে অস্বস্তি তৃণমূলে
বালুরঘাট, ১৬ জুন —— রাত তখন গভীর, চারপাশে নিস্তব্ধতা। সেই সুনসান রাত ভেঙে আচমকা চিৎকার-চেঁচামেচি। রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করানো গাড়িতে সরকারী বোর্ড— ‘পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি’। গাড়ি থেকে নেমে আসছেন এক ব্যক্তি—অর্ধনগ্ন, টলমল চালে, মুখে মদের গন্ধ। পথচলতি মানুষকে কটু কথা, কখনও ধমক, কখনও দাদাগিরি। কেউ মোবাইল তুলে ভিডিও করতে যেতেই ছড়িয়ে পড়ল এই কাণ্ড রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং শুরু হল প্রবল আলোড়ন। ভিডিওতে দেখা ব্যক্তিটি আর কেউ নন, গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী বিউটি সরকারের স্বামী সঞ্জয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাঝরাতে রাস্তায় তাণ্ডব চালিয়েছেন সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে।
ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর কটাক্ষ, “ সরকারি ক্ষমতা আর পদমর্যাদাকে ঢাল করে দাদাগিরি চালাচ্ছেন তৃণমূল নেতাদের আত্মীয়রা।” বিজেপির তরফে এ বিষয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করেছে খোদ তৃণমূলও। তাদের দাবি, সরকারী পদের এধরণের অপব্যবহার অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, ঘটনা জানবার পরেই এনিয়ে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন ব্লক সভাপতির কাছে। এধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে সতর্ক করা হয়েছে দলের তরফে।
স্থানীয় বাসিন্দারাও এনিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেকেরই প্রশ্ন— সরকারি বোর্ড লাগানো গাড়ি কি ব্যক্তিগত দাদাগিরির লাইসেন্স? মধ্যরাতের শহরে নিরাপত্তা কোথায়? এমন ঘটনায় প্রশাসনিক নীরবতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এই ঘটনা সামনে আসতেই নতুন করে অস্বস্তিতে পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল।