পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৭ জুলাই— ভ্যাকসিন নিতেও নেতাদের চরম দাদাগিরি কুমারগঞ্জে। রাতভর লাইনে দাঁড়িয়েও করোনার টিকা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ, অন্যদিকে সিল দিয়েই ভ্যাক্সিন মিলছে নেতাদের। খোদ বিডিও অফিস চত্বরেই চলছে ভ্যাক্সিনের এমন অসাধু চক্র। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের। ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভের সুর চড়িয়েছেন রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষেরা।

জানা গেছে, কুমারগঞ্জ ব্লকের একমাত্র ভ্যাক্সিন সেন্টার ব্লক গ্রামীন হাসপাতাল কেন্দ্র। প্রতিদিন যেখান থেকেই প্রায় দেড়শো জন উপভোক্তাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। আর সেই ভ্যাক্সিন নিতেই রাতের পর রাত জেগে ইটের লম্বা লাইন দিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন সাধারণ মানুষেরা। অন্যদিকে লাইনে না দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র নেতাদের সই ও সীল জোগাড় করেই একশ্রেণীর সুবিধাবাদীরা নিয়ে চলেছেন ভ্যাক্সিন বলে অভিযোগ। সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের ছেলে হোচিমিন চৌধুরী সিল এবং সই দিয়ে বিডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়েই ভ্যাক্সিনের সুপারিশ করছিলেন বলে অভিযোগ। খোদ বিডিওর ঘরের সামনে ভ্যাক্সিন নিয়ে নেতাদের এমন অসাধু চক্রকে ঘিরে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসনও। অন্যদিকে রাতের পর রাত জেগে ইট ও আধার কার্ড দিয়ে লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না কুমারগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা। যাকে ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

কুমারগঞ্জের বিডিও ছেওয়াং তামাং জানিয়েছেন, এমনটা ঠিক নয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। ভ্যাক্সিন যখন যেমনভাবে আসছে তেমনভাবেই দেওয়া হচ্ছে।

সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে হোচিমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আধারকার্ডে প্রধানের সিল সই দিলেই ভ্যাক্সিন মিলছে। সে ভাবেই সকলকে পাঠানো হচ্ছে।

মিজানুর সরকার নামে এক ব্যক্তি বলেন, সীল সই করলে বাড়তি সুবিধা মিলবে ভ্যাক্সিনে এই আশাতেই তিনিও সীল সই করিয়েছেন।
রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অজিত দাস, পার্থসারথি রায় ও আপেল সরকাররা জানিয়েছেন, রাতভর দাঁড়িয়ে থেকেও ভ্যাকসিনের লাইন পাওয়া যাচ্ছে না। দু’দিন ধরে রাত জেগে ইটের লাইন দিয়ে বসে রয়েছেন। সন্ধ্যারাত থেকে লাইন দেবার পরে তাদের সুযোগ এসেছে ভ্যাক্সিন নেবার।