ভূমি সংস্কার দপ্তরে আর বসতে পারবে না মহুরিরা, প্রশাসনের চিঠিতে তপনে আন্দোলনে এলাকার মহুরিরা,ক্ষোভ এলাকায়
শীতল চক্রবর্তী ,তপন, ২৮ জুলাই ,দক্ষিণ দিনাজপুর : ২৫ বছর ধরে বসে থাকা জায়গাতে আর বসা চলবে না মহুরিদের। সাত দিনের মধ্যেই সেখান থেকে উঠে যেতে হবে। প্রশাসনের তরফে এমন নির্দিষ্ট জারি হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর চত্বরে বসে কাজ করা মহুরিরা পড়েছেন দারুন সমস্যায়।সেখানে কাজ করা মহুরীদের এমনি নোটিশ দিলেন ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে থানাও একাধিক প্রশাসনের তরফে। শুধু বসে কাজ করা নয়,স্থায়ী ও অস্থায়ী ঘর সাত দিনের মধ্যে সরিয়ে নেবার নির্দেশ দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানকার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের মহুরীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে তাদের কোন সময় দেওয়া হবে না। মহুরিরা দূর্গা পূজা পর্যন্ত সময় চেয়েছে। ঘটনা শোরগোল পড়েছে এলাকাজুড়ে।
তপন ব্লকের বিডি অফিসে চত্বরের একপাশেই রয়েছে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সেই অফিসটি। সেখানে কাজ করা মুহুরীদের দাবি, ২৫ বছর ধরে তারা সেখানে তারা বসে কাজ করছে। প্রায় ৭০ জন মহুরী রুজি রোজগার রয়েছে সেখানে। প্রতিটি মহুরীর জন্য একটি করে সেরেস্তা রয়েছে। বেশির ভাগ মহুরীর সেরেস্তা গুলি টিনের ছাউনি দেওয়া আছে। এদিন দুপুরে তপন ব্লক প্রশাসন নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সামনে কোনো মহুরী বসতে পারবেন না। যে সমস্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী ঘর রয়েছে সেগুলি সাতদিনে মধ্যে সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু নোটিশ করায় নয়। প্রতিটি সেরেস্তায় সেই নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এদিন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর চত্বরের মহুরীদের সেরেস্তা বন্ধ ছিল। তপন ব্লক প্রশাসনের তরফে মহুরীদের সরে যাবার নোটিশ জারি হতে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের মধ্যে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহুরীদের মধ্যেও।
সেখানকার মুহুরী সংগঠনের অন্যতম সদস্য জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে নয়, পুজো পর্যন্ত আমাদের সময় দেওয়া হোক। না হলে আমাদের রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ব্লকের বিডিওকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে এই পরিস্থিতি এখন কোন দিকে মন নেয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।
প্রশাসনের এমন নোটিশকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তপনসহ জেলা জুড়ে