ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পুর্তির উজ্জ্বল স্মারক বিজয় জ্যোতি এসে পৌছালো হিলিতে, সংগ্রহ করা হল কলস ভর্তি পবিত্র মাটিও।

0
510

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট ; ১৯৭১ সালের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া যুদ্ধে  ভারতীয় সেনাবাহিনীর গৌরবময় বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  উজ্জল স্মারক   ” বিজয় জ্যোতি ” আজ হিলি সীমান্তে এসে পৌছলো।গতবছর ‘বিজয় দিবস’ উপলক্ষে রাজধানী দিল্লি থেকে এই ‘বিজয় জ্যোতি যাত্রা’উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ” 


৭১ এ পাক- ভারত যুদ্ধ বিজড়িত দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলিতে আজ  ৬৪ নম্বর মাউন্ট ব্যাটন কোম্পানীর তরফে সেনাবাহিনীর এই”  বিজয় জ্যোতি” অগ্নি প্রজ্জ্বলিত  মশাল এসে  পৌছলে তাকে সেনাবাহিনীর ৬৪ নম্বর মাউন্টব্যাটনের এর তরফে  কমান্ডান্ট রাহুল মিশ্রা যথাযথ সম্মান পুর্বক মর্যাদার  সাথে গ্রহন করে। হিলি সীমান্তে পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে মৃত ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর প্রতি উৎসর্গীকৃত  স্মৃতি সৌধ্য স্থানে সম্পুর্ন কোভীড বিধি মেনে সেনাবাহিনীর তরফে ফুলের স্তবক দিয়ে বীর শহিদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান জেলা শাসক সি মুরুগন।বিউগল বাজিয়ে   রাষ্ট্রীয়া স্যালুটের পাশাপাশি  দু মিনিট নিরবতাও পালন করা হয় আজকের এই সেনাবাহিনীর গৌরবগাথাময় এই   অনুষ্ঠানে। পাক যুদ্ধ বিজড়িত এই হিলির বেশ কিছুটা  পবিত্র মাটি একটি সুন্দর কলসে সেনাবাহিনীর তরফে  দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া জন্য সংরক্ষন করা হয় সেনাবাহিনীর তরফে। এছাড়া ও সেনাবাহিনীর তরফে আজকের  এই  ”  বিজয় জ্যোতি” র গৌরবময় অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয় জেলার অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর লোকজনদের।পাশাপাশি পাক যুদ্ধে জলন্ধর সেক্টরে নিহত  বালুরঘাটের বাসিন্দা মহেন্দ্র নাথ দাসের বিধবা পত্নী মল্লিকা দাস ও শ্রীলংকায় শান্তি রক্ষা বজায় রাখতে গিয়ে জেলার গংগারামপুরের বাসিন্দা নিহত   সেনা কর্মী দীপক কুমার মহন্তর বিধবা পত্নী অঞ্জলী মহন্তকে।  ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের পশ্চিম সীমান্তে বসন্তর নদীর তীরে খোলা ফ্রন্টে  ভারতীয় সেনা বাহিনী হামলা চালিয়ে পাক সেনাবাহিনীর আমেরিকা  থেকে প্রাপ্ত আর্মি প্যাটন ট্যাঙ্কগুলিকে ধ্বংস চালিয়ে একটি কবরস্থান করে তোলে। এই কারণেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই আগ্রাসী কোর ১৬ ডিসেম্বর ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে।সেই গৌরবময় যুদ্ধের বিজয় দিবসের ৫০ বছর পুর্তিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ”  বিজয় জ্যোতি ”  দীপ শিখা প্রজ্জলিত মশাল সারা ভারতের মানুষের মধ্যে সেনাবাহিনীর গৌরবগাথা তুলে ধরবার জন্য বের করা হয়।জানা গেছে এই বিজয় জ্যোতি”র যাত্রায়’ চারটি ‘বিজয় মশাল’ এক বছরের মধ্যে পুরো দেশের সেনানিবাস অঞ্চল পরিদর্শন করবে।

যাত্রা দিল্লি থেকে শুরু হয়ে মথুরা, ভরতপুর, আলওয়ার, হিসার, জয়পুর, কোটা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ডিভিসনের আওতায় থাকা শহর গুলি  একবছর ধরে ঘুরে ফের দিল্লি ফিরে যাবে। সংগে নিয়ে যাবে সব এলাকার পবিত্র মাটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here