বুনিয়াদপুরে ভ্যাক্সিন না পেয়ে প্রবীণেরা স্বাস্থকেন্দ্রে তালা মেরে ও পথ অবরোধ করে আন্দোলনে নামল, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মিটল সমস্যা -কেন হচ্ছে এমন প্রশ্ন সকলের
শীতল চক্রবর্তী ,বুনিয়াদপুর ,২৯আগষ্ট, দক্ষিণ
দিনাজপুর:-বাঁচতে চাই ভ্যাক্সিন চাই,এই শব্দদুটিকে সামনে রেখে প্রবীন বহু এলাকাবাসীরা ভ্যাক্সিন দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশপাশি পথ অবরোধ করে আন্দোলনে নামল বহু বাসিন্দারা।
রবিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রে রসিদপুরে।বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁচতে চাই ভ্যাক্সিন চাই বহু সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তা না পেয়ে আন্দোলন নেমেছি।খবর পেয়েই সেখানে ছুটে আসেন ব্লকের বিডিও থেকে চেয়ারম্যান মহুকুমা প্রশাসনের লোকজনেরা। তারাই পরে প্রবীন থেকে বাকি সকলকে বুঝিয়ে ভ্যাক্সিন চালু করে সমস্যা মেটান।তবে কেন হচ্ছে এমন কান্ড ভ্যাক্সিন কাজ তা নিয়েই বুনিয়াদপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় চরম শোরগোল করেছে

বংশীহারী ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহর এলাকার মানুষজনদের অভিযোগ নবীন থেকে শুরু করে প্রবীণদের জন্য প্রথম ডোসের ভ্যাক্সিন দেবার জন্য প্রতিদিন রাত ২থেকে টায় বংশীহারী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে লাইন দিতে হয় তাদের। অভিযোগ সেখানে সকাল ১০টা হতেই স্বাস্থ কেন্দ্র থেকে বলে দেওয়া হয় ভ্যাক্সিন নেই কাল আসবেন।এমন ঘটনা বহু দিন ধরেই চলছে বলে অভিযোগ বংশীহারী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই বাসিন্দাদের অভিযোগ। রবিবারেও ঠিক এক গল্প বংশীহারী ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রের আধিকারিক শুনালে ভ্যাক্সিন পেতে রাতে লাইন দিয়ে প্রবীন নাগরীক তা না পেয়ে এদিন বাকি আন্দোলনকারিদের ফিরে যাওয়া নবীনেরা পথ অবরোধ শুরু করেন।তালা মেরে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অমর আলী ও আশিষ ঘোষ নামে দুই প্রবীণ ও নবীন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন স্বাস্থকেন্দ্রের এমন ঘটনা দেখেই আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি। ভ্যাক্সিন চাই বাঁচতে চাই সেই কারনেই এমন আন্দোলন করা।
এমন ঘটনার খবর পেতেই সেখানে ছুটে আসেন বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন।তিনি স্বাস্থ দপ্তরের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বয়স্ক নাগরীকদের সঙ্গে এমনটা ঠিক না।দেখতে আসলাম ওনারা কি করছেন।
বংশীহারী ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল জানান, সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেই এখানে আসা হয়েছে। আশা করছি আগামী দিনে এমনটা আর হবে না।
ব্লক স্বাস্থ কেন্দ্রের আধিকারিক নিজের দোষ ঢেকে জানান কর্মী কম থাকার জন্য এমনটা হয়েছে, আমি নিজেই সেই কাজ করছি।জেলাতে জানিয়েছি। আশা করছি সমস্যা মিটে যাবে।
গঙ্গারামপুর মহুকুমা ডিএমডিসি মনতোষ মণ্ডল জানিয়েছেন, সমস্যাটা মিটানোর জন্য এখানে আসা হয়েছিল। আগামীতে যেন আর এমনটা আর না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে সমস্যা মিটে যাবে ভ্যাক্সিন নেবার বিষয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তাঁর।
তবে কেন হচ্ছে এমন কান্ড ভ্যাক্সিন কান্ড তা নিয়েই বুনিয়াদপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় চরম শোরগোল করেছে।