বুনিয়াদপুরে বিভিন্ন দোকানে ঘটছে চুরির ঘটনা, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে আইন হাতে তুলে নিয়ে নিজেরাই নামলেন পথে। চোর ধরে দিলেন গণধোলাই। শোরগোল এলাকাজুড়ে ।
শীতল চক্রবর্তী ,বুনিয়াদপুর ,14জুন ,দক্ষিণ দিনাজপুর:—-বুনিয়াদপুর পৌরসভা এলাকায় প্রায় এক মাস ধরে চুরি হচ্ছে বিভিন্ন দোকান থেকে বিভিন্ন সামগ্রী ।লক ডাউনের মধ্যে এমনভাবে চুরির ঘটনায় বুনিয়াদপুর পৌরসভার স্থানীয় বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত পুলিশের ভূমিকায়। বংশীহারী থানার পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় রাতে টহল দিলেও কি করে এমন ঘটনা ঘটে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । রবিবার গভীর রাতেও বুনিয়াদপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায় স্থানীয় সচিন পালের বাড়ি থেকে চুরি হয় টোটোর ব্যাটারি চার্জার । সকালে বিষয়টি জানতে পারলে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার প্রদীপ সরকার নামে 21 বছরের যুবক কে সন্দেহ করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । তার থেকেই জানতে পারে , ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুজনের নাম । একজন গ্রামেরই প্রদীপ হালদার (২৩), আরো একজন নারান সরকার (৩৫) ।

এরপরে সাধারণ মানুষ তিনজনকে এক জায়গায় বেঁধে রাখে চলে গণধোলাই । খবর পেয়ে ছুটে আসে বংশীহারী থানার পুলিশ । বংশীহারী থানার পুলিশ এলাকাবাসীদের থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় । বংশীহারী থানার এলাকাবাসীর দাবি এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত । এছাড়া বুনিয়াদপুর পৌরসভা এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে যুব সমাজ ড্রাগের নেশায় আসক্ত। যখন নেসা কিনতে পকেট এ টান পরে তখন তারা এই ধরনের চুরির সঙ্গে যুক্ত হয়। পুলিশ এদের চিনেও না চেনার ভান করে ।পুলিশের সঙ্গে ওদের যোগ রয়েছে।এই বিষয়ে স্থানীয় শহর এলাকার বাসিন্দা শচীন পাল জানিয়েছেন, আমাদের পালপাড়াতে অনেক দিন থেকেই টোটোর ব্যাটারি সহ আরো অন্যান্য সামগ্রী চুরি হচ্ছে । রবিবার রাতেও আমার বাড়ি থেকে টোটোর ব্যাটারি সহ চার্জার চুরি হয় । বেশ কয়েকদিন আগে রশিদপুর এলাকায় চিত্ত চোকদারের বাড়ি থেকে বেশ কিছু সামগ্রী চুরি হয় । এর আগে সাধারন মানুষ সেই চোরদের কে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের । আমরা সেই কারণে তিনজন চোরকে নিজেরাই ধরি এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি । আমরা চাই এই সমস্ত চোরদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক । এ বিষয়ে আর এক দোকান মালিক গৌরাঙ্গ সিংহ রায় অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আমার দোকান থেকেও বহু জিনিস চুরি হয়েছে। তিন কুন্টাল তামার তার চুরি করেছে, দুইখানা রেগুলেটর কুড়ি খানা চাকা। জিনিস গুলো বিক্রি করেছে গঙ্গারামপুর কালিতলার আগে বাঁদিকের ভাংরি দোকানে গিয়ে। এর আগেও বুনিয়াদপুর এর বহু জায়গায় চুরির পর ধরা পড়েছিল এরা। ছোট বাচ্চা বলে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। কিন্তু এরা বাচ্চা নয় চৌবাচ্চা। এরা প্রত্যেকটা জায়গায় দুই দিন পরপরই চুরি করছে ধরাও পড়েছে ছাড়া পেয়েছে আবার চুরি করছে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম হালদার অভিযোগ করে জানিয়েছেন ,গতকাল রাতে পালপাড়া এলাকায় একটি বাড়ি থেকে টোটোর ব্যাটারি সহ আরো অন্যান্য সামগ্রী চুরি যায় এবং সেইসঙ্গে বুনিয়াদপুর পৌরসভার রশিদপুর এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে প্রচুর সামগ্রী চুরি যায় এই ধরনের ঘটনায় আমরা চোরকে ধরলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেজন্য আমরা আজকে তিনজন চোরকে ধরি। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু বলেননি। এই ধরনের চুরির ঘটনায় চরম অশান্তি যে পড়েছে পৌরসভা এলাকার বাসিন্দার।