বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান! “হোপকন” চিকিৎসক কনভেনশনে ইতিহাস গড়লেন বালুরঘাটের পয়োধি। বার্তা— রোগ নয়, গুরুত্ব পাক রোগী
বালুরঘাট, ৫ জুলাই —–ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলে গেল শহর কলকাতায়— আর তার কেন্দ্রবিন্দুতে বালুরঘাটের গর্ব, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ পয়োধি ধর। তাঁর উদ্যোগেই নার্চার ফাউন্ডেশনের ব্যানারে আয়োজিত হল ‘হোপকন ২০২৫’— চিকিৎসাবিদ্যার পরিসরে আন্তর্জাতিক মানের তিন দিনব্যাপী কনভেনশন। উদ্দেশ্য একটাই— চিকিৎসার পরিকাঠামোয় শুধু যন্ত্র নয়, মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া।
যেখানেই হাজির হয়েছিলেন দেশের তাবড় মেডিকেল কলেজ যেমন এইমস, ভেলোর, নিম্যানস, তেজপুর-চন্ডীগড় থেকে ১২০০-র বেশি চিকিৎসক-শিক্ষক। শ্রোতা হিসেবে হাজির প্রায় সাড়ে ছ’হাজার চিকিৎসক। উপস্থিত ছিলেন হোপকনের অন্যতম কর্ণধার ডঃ সঞ্চারি ধরও।
ডঃ পয়োধি স্পষ্ট বলেন, “ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞান বহু সমৃদ্ধ, কিন্তু তার যথার্থ দিশা ও উপস্থাপন বিশ্বের সামনে তুলে ধরার অভাব ছিল। হোপকন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়।” তিনি যোগ করেন, “ভুল তথ্য, ফেক থেরাপি ও অনলাইন বিভ্রান্তির যুগে সঠিক চিকিৎসা সহজলভ্য করাই আমাদের অঙ্গীকার।”
চিকিৎসকদের এই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ‘হোলিস্টিক পেশেন্ট কেয়ার’— অর্থাৎ রোগের চিকিৎসা নয়, চিকিৎসার কেন্দ্রে থাকবে রোগী স্বয়ং।
কলকাতা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, একজন রোগীকে সামগ্রিক রোগী হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে চিকিৎসা করাই তাদের মুল লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন “পরিকাঠামোর অভাবে উত্তরবঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু সেটা যেন কখনই চিকিৎসকের অভাবে না হয়। তাদের কনভেনশনের মূল উদ্দেশ্য ডাক্তারদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে মাঠে নামানো।
প্রখ্যাত ফিজিসিয়ান ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডঃ মেরি ডিক্রুস জানান, “নারীস্বাস্থ্য নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করেছে শুধুমাত্র হোপকন। এ দৃষ্টান্ত গোটা দেশ অনুসরণ করবে।”
হোপকন কেবল একটি কনফারেন্স নয়— এটি একটি আন্দোলন, একটি আদর্শ, যা চিকিৎসা জগতকে ভবিষ্যতের পথ দেখাবে। আর এই ঐতিহাসিক প্রয়াসের শীর্ষে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের সন্তান, ডঃ পয়োধি ধর— যার হাত ধরেই ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞান বিশ্ব দরবারে পৌঁছানোর পথে।