বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ
বদলপুর সমবায় ব্যাংকে গ্রাহকদের জমা টাকা ফেরত না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের বদলপুর সমবায় সমিতিতে গ্রাহকদের জমানো কোটি টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।সমবায়ের ম্যানেজার ও সম্পাদক পদে রয়েছেন তারা বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত বলে অভিযোগ।দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের জমা করা টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন অসংখ্য গ্রাহকেরা।গ্রাহকদের অভিযোগ,তিলে তিলে জমানো টাকা ফেরত চাইতে গেলে ম্যানেজার সম্পাদককে দেখাচ্ছেন, আবার সম্পাদক ম্যানেজারকে।ফলে দীর্ঘদিন ধরেই টাকা পাওয়ার জন্য হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলে তাদের দাবি।বাধ্য হয়ে তারা আরসিএস ও সিআই দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতৃত্ব
জানা গেছে,বদলপুর সমবায় সমিতির সম্পাদক পদে রয়েছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত মজুমদার এবং ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে আছেন এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ রায়।অভিযোগ,সমবায় সমিতি থেকে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা বড় অঙ্কের ঋণ পেয়েছেন, যা তারা দীর্ঘ বছরেও পরিশোধ করেননি।সেই প্রভাবেই সাধারণ গ্রাহকদের জমা টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি তাদের।
বদলপুর সমবায় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে,এই সমিতির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭০০জন। ব্রজবল্লবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই সমবায়ে গ্রাহকেরা কোটি টাকারও বেশি জমা রেখেছেন।বহু গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকার করছেন ম্যানেজার ও সম্পাদক বলে এমন অভিযোগও উঠেছে।
গ্রাহকদের ক্ষোভ ,“টাকা চাইতে গেলে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।যা বছরের পর বছর ধরে চলছে। গ্রাহকেরা বিপদে পড়লেও দেওয়া হয়নি তাদের টাকা বলেও তাদের অভিযোগ। গ্রাহক বিপদতারণ কবিরাজসহ একাধিক আমানতকারীরা অভিযোগ করে বলেন,“অনেক টাকা জমা করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ফেরত পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানাতে হয়েছে।”
বংশীহারী জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন,“এমন অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।বিজেপি নেতারা যুক্ত রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে।প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক,যেন গ্রাহকেরা দ্রুত টাকা ফেরত প্রায়।”
বংশীহারী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গণেশ প্রসাদ একই সুরে দাবি করেছেন গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের।”
জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন,“ঘটনার ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।খোঁজ নিয়ে দেখব।”
অভিযুক্ত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা বদলপুর সমবায় সম্পাদক দেবব্রত মজুমদার এবং ম্যানেজার গোবিন্দ রায় তাদের বিরুদ্ধে ওঠাও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”বিষয়টি প্রশাসন জানে তারাই দেখছে এবিষয়ে আমরা কিছু বলবো না।”
এই ঘটনার স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে,৭০০গ্রাহক কি আদৌ তাদের পরিশ্রমের জমানো টাকা ফেরত পাবেন?এখন এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়,সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।



















