বালুরঘাটে হেরে গিয়েও বিজেপি নেতা কর্মীদের মনজয় করল বিপ্লব! প্রশংসা সুকান্তর মুখেও

0
140

বালুরঘাটে হেরে গিয়েও বিজেপি নেতা কর্মীদের মনজয় করল বিপ্লব! প্রশংসা সুকান্তর মুখেও

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৬ জুন ——– ঔদ্ধত্য নয়, বিপ্লবের নম্রতা মনজয় করলো বিজেপির নেতা কর্মীদের। প্রশংসা বিজয়ী প্রার্থী সুকান্তর মুখেও। বুধবার ভোররাত পর্যন্ত বালুরঘাট কলেজের কাউন্টিং সেন্টারে দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ের পর তৃণমূল প্রার্থী সম্পর্কে এমনই মন্তব্য শোনা গেছে একাংশ বিজেপির নেতা কর্মীদের মুখে। সংস্কৃতির শহরে যে রাজনৈতিক সৌজন্যতাই এখন নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। আর যা নিয়েই বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সামনে এনে জোর চর্চা শুরু হয়েছে গোটা বালুরঘাট শহরে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের গণনা নিয়ে এই বালুরঘাট কলেজই কার্যত সংবাদ শিরোনামে এসেছিল। গণনাকেন্দ্রে দেদার ছাপ্পার পাশাপাশি গুলি চালাবার অভিযোগও উঠেছিল দুস্কৃতিদের বিরুদ্ধে। নজিরবিহীন এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সংস্কৃতির শহরে। যার বিরুদ্ধেই কার্যত ফুসে উঠেছিলেন এই শহর ও শহরতলির মানুষেরা। আর যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে লক্ষাধিক ভোটে জেতা তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ ধরাশায়ী হয়েছিলেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। লড়াই কঠিন থাকলেও প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত ভোটের সেই গণনা কেন্দ্রের আতঙ্কের কথা উস্কে দিয়েই বিপুল ভোটে অর্পিতা ঘোষকে পর্যদুস্ত করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। এরপর আরো পাচ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, ২০২৪ সালে রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে এই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রটি। যে কেন্দ্রেই এবারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাথে লড়াই করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। বুধবার ভোররাত পর্যন্ত যে কেন্দ্র দখল নিয়েই চলেছে দুই হেভিওয়েট নেতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যদিও শেষ পর্যন্ত দশ হাজারের কিছু বেশি ভোটে হার স্বীকার করতে হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার ভোররাত পর্যন্ত চলা এই দীর্ঘ সময়ের গণনা প্রক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর যে রাজনৈতিক সৌজন্যতা ও তার লড়াকু মনোভাব তা যেন কিছুটা মন জয় করেছে বিজেপির নেতা কর্মীদের একাংশকে। যা প্রকাশ পেয়েছে দলের প্রার্থীদের মন্তব্য নিয়েও। আর যা নিয়েই রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে সংস্কৃতির শহর বালুরঘাটে। তবে রাজনীতি মানেই যে ঔদ্ধত্য, হিংসা বা মারামারি নয়, গণনাকেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর নম্রতা ও রাজনৈতিক সৌজন্যতা যেন সেই চিত্রই তুলে ধরেছে।

বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন, দুজন দুটি দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এই নির্বাচনে তাই তাদের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই থাকবেই। আমার সাথে সুকান্তর কথা হয়। একজন নেতার সাথে আরেকজন নেতার কথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। গণনাকেন্দ্রে একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল, এটাই আমাদের বাংলার সংস্কৃতি।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, যারা রাজনীতি বিশেষজ্ঞ তারা জানেন ৪০ বছরের একজন রাজনীতির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষকে হারানো অত সহজ ব্যাপার নয়। বিপ্লব বাবু আমাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন, কথা হয়েছে অনেকক্ষণ। আগামীতে কাজের ক্ষেত্রে তার সাথে আলোচনা করে কাজ করবেন সেই নীতিতে তিনি নিজেও বিশ্বাসী। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতাও চাইবেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here