বালুরঘাটে থামলো রেক, খুললো সাইলো গোডাউনের দরজা! কর্মসংস্থানের স্বপ্নে জেগে উঠলো শহর
বালুরঘাট, ২৫ জুন ——রামপুরের পর এবার বালুরঘাটেও চালু হল রেক পরিষেবা। আর তার সঙ্গেই শহরে নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল সাইলো গোডাউন। বুধবার সকালে পাঞ্জাব থেকে গম বোঝাই ৪২ রেকের একটি ট্রেন এসে পৌঁছতেই বালুরঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন গোটা এলাকাজুড়ে যেন ছোটখাটো উৎসবের চেহারা নেয়। শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গম খালাসের কাজ। প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক, ২৫টি লরি ও স্থানীয় ট্রাক সংগঠনের সহায়তায় গোডাউনে শুরু হয় খাদ্যশস্য মজুতের প্রক্রিয়া। তবে বর্ষার মরশুমে গোডাউনের ভেতরের রাস্তার কাজ সঠিক না হওয়ায় শুরুর দিনে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে ট্রাক চালকদের। তবে এই সাইলো গোডাউন চালুতে নতুন করে কর্মসংস্থানের আশা দেখতে শুরু করেছে বালুরঘাট ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি চঞ্চল সাহা বলেন, “এই রেক পরিষেবা চালু হওয়াটা আমাদের বহুদিনের স্বপ্ন ছিল। আজ সেটা বাস্তবে পরিণত হল। পাঞ্জাব থেকে আসা এই গম শহরের সাইলো গোডাউনে মজুত হবে আমাদের সংগঠনের ট্রাকের মাধ্যমেই।”
জানা গেছে, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই) ও ভারতীয় রেলের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই আধুনিক সাইলো গোডাউনটি তৈরি হয়েছে বালুরঘাটের ধাউল ও বোয়ালদের মৌজার প্রায় ৪০ একর জমির উপর। তিনটি সাইলোতে একত্রে ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রাখা যাবে বলে জানিয়েছে গোডাউনটি পরিচালনাকারী হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থা। যে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ বছরের জন্য এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অত্যাধুনিক সাইলো গোডাউনের মাধ্যমে গম কিংবা অন্যান্য খাদ্যশস্য জলীয় বাষ্পমুক্ত ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা যাবে। উপর থেকে লোড এবং নিচ থেকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে আনলোড করার ব্যবস্থা থাকায় দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে মজুতকাজ সম্পন্ন হবে। এদিন যে গোডাউনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরেই প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সাইলোতে মজুত করা হয়েছে। এই উদ্যোগ আগামীতে শুধু খাদ্য সুরক্ষার নতুন দিশা নয়, কর্মসংস্থানের দিক থেকেও বালুরঘাটবাসীর কাছে এক নতুন আশার আলো বলেই মনে করছেন অনেকেই।