বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা বাতিলের খবর শুনতেই হতাশ পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকেরা।

0
572

উত্তর দিনাজপুর:-বাতিল হয়ে গিয়েছে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা বাতিলের খবর শুনতেই হতাশ পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকেরা। সারা বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পড়াশুনা করেছেন ছাত্রছাত্রীরা একটা ভালো ফলের আশায়। কিন্তু এইসব মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা না হওয়ায় কৃতী ছাত্রছাত্রী হওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন। ফলে চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন নামী দামী স্কুলের পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। রায়গঞ্জের স্বনামধন্য স্কুল কর্তৃপক্ষরাও আশাহত এবার রাজ্যে ভালো ফল করত তাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কিন্তু সেটা আর হলোনা। এই অতিমারি করোনার কারনে রাজ্য সরকারের এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক অভিভাবিকারা এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।

বরাবরই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম থেকে দশম স্থান দখল করে থাকে উত্তর দিনাজপুর জেলার নামকরা কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এবারেও সেই কৃতী সন্মান অর্জনের জন্য সারাবছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পড়াশুনা করেছেন পরিক্ষার্থীরা। দিনরাত এক করে অনলাইনে এবং অফলাইনে পড়াশুনা করেছিলেন স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য। কিন্তু দেশ তথা রাজ্যজুড়ে কোভিড প্যান্ডামিক পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। পরীক্ষা বাতিল হলেও কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন হবে তা নিয়েই উঠেছে লাখ টাকার প্রশ্ন। আর রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধানে একেবারে চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন রায়গঞ্জের স্বনামধন্য স্কুলগুলির মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। ছাত্রছাত্রীদের সাথে সাথে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয় অভিভাবকদেরও। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাঁরাও কার্যত হতাশ। অন্নপূর্ণা সিংহ নামে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মা বলেন, আমরা সম্পূর্ণরূপে হতাশ। আমাদের আশা ছিল এবার তাদের ছেলে স্কুল জীবনের শেষ পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে একটা ভালো জায়গা পাবে। কিন্তু সেই আশা অপূর্নই থেকে গেল। এখন বাধ্য হয়ে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষায় যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে। অঙ্কুর সিংহ নামে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন, খুবই হতাশ হয়ে গিয়েছি পরীক্ষা বাতিলের খবর শুনে। নিজে এবং স্কুলের শিক্ষকেরাও আমাকে নিয়ে এবার ভালো রেজাল্টের আশা করেছিলেন। কিন্তু পরীক্ষাই বাতিল হওয়ায় কার্যত আমরা সবাই হতাশ। এখন কিভাবে আমাদের উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন করা হবে সেই আশঙ্কাতেই রয়েছি। রায়গঞ্জ শহরের স্বনামধন্য স্কুল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুভাশীষ বসাক জানিয়েছেন, এবারে আমাদের স্কুল থেকে একঝাঁক ভালো ছাত্রছাত্রী ছিল যাঁর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে খুব ভালো ফলাফল করত। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় আমরা সকলেই হতাশাগ্রস্ত। তবে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকটা ভেবে এই অতিমারি করোনা আবহে পরীক্ষা বাতিল করাটাকে আমাদের মেনে নিয়ে নিজেদের হতাশা আবেগ ও কষ্টকে চেপে রাখতেই হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here