রায়গঞ্জ:-বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজার আর বাকি মাত্র তিনটি মাস, কিন্তু করোনা আবহে এবারের দুর্গোৎসবে মানুষ কতটা নতুন জামাকাপড় কেনাকাটা করতে বা পূজোয় আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর সেই সংশয় থেকে চরম আশঙ্কায় ভুগছেন বস্ত্র ব্যাবসায়ীরা। একদিকে যেমন নিজেরাও বাইরে গিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের জামাকাপড় তুলে আনতে পারছেন না পাশাপাশি বেশি করে বস্ত্রের সম্ভার দোকানে সাজিয়ে রাখলেও করোনার কারনে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা কতটা থাকবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের বস্ত্র বিপণী সংস্থাগুলো। অনেক বস্ত্র ব্যাবসায়ী বলছেন পূজো হবেই তবে মানুষ আগের বারের পুজোগুলোর মতো এবার সেভাবে কেনাকাটা করতে পারবেন না, কেননা বহু সাধারন মানুষ তাদের রুজি রোজগার হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আবার অনেক ব্যাবসায়ী বলছেন করোনা এবারে তাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে।
একেতেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলা লকডাউনে ব্যাবসা বন্ধ হয়েছিল বস্ত্র ব্যাবসায়ীদের। আনলক পিরিয়ডেও করোনা আবহের কারনে সেভাবে ক্রেতাদের দেখা নেই বস্ত্র বিপণীগুলোতে। সারাটা বছর কাপড়ের ব্যাবসায়ীরা আশায় বসে থাকেন পুজোর মরশুমে ভালো বিক্রির জন্য। কিন্তু এবার করোনা আবহে দূর্গাপুজার তেমন কোনও সমারোহ থাকবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে পুজোর সময়েও ব্যাবসা না হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন রায়গঞ্জ শহরের ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক বস্ত্র বিপণী সংস্থাগুলো। গরীব থেকে ধনী সর্বস্তরের বাঙালি দূর্গাপুজোতে নতুন জামাকাপড় কিনে তা পড়ে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শন করেন। অনেক মানুষই আছেন পুজোর চারটে দিন চার ধরনের নতুন জামাকাপড় কিনে তা পড়েন। কিন্তু এবছর করোনার কারনে সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা একেবারে তলানিতে ঠেকে গিয়েছে। তাই এবার পুজোতে কি ব্যাবসা করতে পারবেন কাপড়ের ব্যাবসায়ীরা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বস্ত্র ব্যাবসায়ীরা জানিয়েছেন করোনার লকডাউনের জন্য তাদের ব্যাবসা বন্ধ ছিল। তাতে তারা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপর দূর্গাপুজোয় যদি ব্যাবসা না হয় তাহলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বেন।