জলপাইগুড়িঃ-
“ভুল” রাস্তায় ঢুকে বেকায়দায় চালের বস্তা বোঝাই লরি। অভিযোগ, সেই লরিতে বস্তা বস্তা রেশনের চাল ছিলো, যার কোনো বৈধ নথি ছিলো না। সেই লরি আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলো স্থানীয় বাসিন্দারা।
জলপাইগুড়ির শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিভিটা-ফুলতিপাড়া ঘটনা।
মালিভিটা-ফুলতিপাড়া এলাকার ছোট গ্রামীন সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের কারণে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর বাসিন্দাদের দাবি মেনে ওই ওলাকায় ভারী গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে। বিশের করে রাতের বেলায় ওই সড়কে ভারী গাড়ি চলাচল একেবারেই বন্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ, সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে কিছু ভারী গাড়ি রাতের অন্ধকারে ওই রাস্তায় চলাচল করে। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ বস্তা বোঝাই একটি বড় লরি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা সেটি আটকে দেন। কেন এই রাস্তা দিয়ে লরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে লরির চালককে আটক করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য নির্বাচিত সদস্য তপন রায় ঘটনাস্থলে আসেন। তার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় লরিতে তল্লাশি চালান। এরপরই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। দেখা যায়, লরিতে রেশনে দেওয়া আতপ চালের বস্তা বোঝাই করা রয়েছে। সেই চালের বস্তা নিয়ে যাওয়ার কোনো নথি দেখাতে পারেননি গাড়ির চালক। এতেই সকলের সন্দেহ হয়, রেশনের চাল অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌছানোর জন্যই প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ওই শর্টকাট রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছিল । এরপর খবর দেওয়া হয় বেলাকোবা থানায়। চালের বস্তা ভর্তি সন্দেহজনক লরিটি পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। পাশাপাশি, স্থানীয়রা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে সম্মিলিতভাবে থানায় একটি লিখিত এজাহারও করেছে। বেলাকোবা ফাড়ি সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পেয়ে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওদলাবাড়ির কোনো রেশনডিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চালের বস্তাগুলি।