বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ! মালদার বাসিন্দাকে সাতবছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল বালুরঘাট জেলা আদালত। বাড়িতে একাকি পেয়েই ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শারিউল্লা
পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১২ আগষ্ট ——– বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে মালদার এক ব্যক্তিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিল বালুরঘাট জেলা আদালত। সোমবার আদালতের এডিজে সেকেন্ড কোর্টের বিচারক শরন্নাসেন প্রসাদ অভিযুক্ত শারিউল্লা শেখকে ওই ঘটনার মূল দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। একইসাথে দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ছমাস জেলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন যে রায় ঘোষণা হতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় আদালত চত্বরে।
জেলা আদালত সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৪ সালের মে মাসে ওল্ড মালদার বাসিন্দা শারিউল্লা শেখ বালুরঘাট থানার রাজুয়ার বাউধারা গ্রামে এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েই যাদের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন হয়েছিল। কিন্তু ওইদিন বন্ধু বাড়িতে না থাকার সুযোগ নেয় শারিউল্লা। সেখানে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করার পরেই তার নজর যায় বাড়িতে একাকি থাকা বন্ধুর বউ এর উপর। এরপরই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে সেই মহিলাকে ধর্ষণ করেন শারিউল্লা। যার চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসলে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় অভিযুক্ত শারিউল্লাকে। এরপরই গ্রামবাসীরা তাকে তুলে দেয় বালুরঘাট থানার পুলিশের হাতে। মহিলার করা লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই যে ঘটনার তদন্তে নামে বালুরঘাট থানার পুলিশ। দীর্ঘ ১০ বছর বালুরঘাট জেলা আদালতে যে মামলা চলার পরেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এদিন তার রায় দিয়েছেন বিচারক।
বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, একটি ধর্ষণের মামলায় এদিন এডিজে সেকেন্ড কোর্টের বিচারক শরন্নাসেন প্রসাদ অভিযুক্ত শারিউল্লা শেখকে সাতবছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সাথে দশহাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছমাস কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।