বংশীহারী থানার কান রে পুকুরে নোংরা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণ করায় গাড়ি আটকে বিক্ষোভ এলাকাবাসীদের , অস্বীকার পুকুর মালিকের, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ভিডিও সহ সভাপতির
শীতল চক্রবর্তী ,বুনিয়াদপুর ,23 শে জুন ,দক্ষিণ দিনাজপুর:——
রাতের অন্ধকারে পুকুর মালিকের দাদাগিরি,।পরিত্যক্ত মলমূত্র প্রতিনিয়ত জনবহুল এলাকায় পুকুরে ফেলায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীরা গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার কামরুল এলাকায়। পুলিশ মানে কি আর এমন অন্যায় প্রতিবাদ জানিয়ে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান তারা। যদিও যা করেছেন ঠিক করেছেন বলে পুকুর মালিক দাবি করেছে। ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছন পঞ্চায়েত সমিতি ও বিডিও তরফে। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে লাগা জুড়ে।
জানা যায় বংশীহারী থানার কানুর এলাকায় নব সরকার নামে এক পুকুর ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত পরিতক্ত মলমূত্র তার লিজ নেওয়া পুকুরে ফেলতো বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীরা। আর যার কারণেই এদিন পরিতক্ত মলমূত্র পুকুরে ফেলতে আশা গাড়ি আটকে বিক্ষোভে সামিল হলো এলাকাবাসীরা। এলাকাবাসীরা অতি দ্রুত পুকুর ব্যবসায়ীর শাস্তির দাবি করেছেন।
জানা যায় গাংগুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কানুর এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে নব সরকার নামে এক পুকুর ব্যবসায়ী তার পুকুরে পরিতক্ত মলমূত্র এনে মাছ চাষের কাজে ব্যবহার করতেন। আর তার গন্ধেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কানুর এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি, আমরা বেশ কিছু বছর ধরে সেই পুকুরেই স্নান করা থেকে শুরু করে গৃহস্থের নানারকম কাজকর্ম করে থাকি। শুধু আমরাই নয় গবাদিপশুরাও বিভিন্ন সময়ে এই পুকুরের জল পান করে থাকে। আর এই মাছ ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে পরিতক্ত মলমূত্র এনে আমাদের এলাকায় ফেলে চলে যাচ্ছে। যার ফলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের এলাকায়। আর যার ফলে আজকে সেই মাল ফেলা গাড়ি আটকে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে এলাকার মানুষজন এরা। আমরা চাই অতি দ্রুত প্রশাসন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। না হলে আমরা এভাবে আর বসবাস করতে পারছিনা।
এবিষয়ে বিক্ষোভকারী এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, বহুদিন ধরে রাতের অন্ধকারে আমাদের এলাকায় এক মাছ ব্যবসায়ী নব সরকার পরিতক্ত মলমূত্র এনে আমাদের গ্রামের পুকুরে প্রতিনিয়ত ফেলে যাচ্ছে। আর যার গন্ধে আমরা থাকতে পারছি না গ্রামের মধ্যে। নব সরকার নামে এই ব্যবসায় যে পুকুরে পরিতক্ত মলমূত্র গুলি রাতের অন্ধকারে ফেলে যাচ্ছে আমরা সেই পুকুরে স্নান করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের গৃহস্থালির কাজ কর্ম করে থাকি। তাই আমরা চাই যাতে প্রশাসন এ বিষয়ে অতি সত্ত্বর হস্তক্ষেপ করুক। আমরা এই মাছ ব্যবসায়ী শাস্তির দাবী জানাই।
যদিও নব সরকার নামে ওই অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী আমাদের ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তার দাবি আমি টাকা দিয়ে পুকুর লিজ নিয়েছি। তাই আমার ইচ্ছে মত আমি মাছ চাষ করব।
এ বিষয়ে বংশের ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা পাল ও বংশীহারী পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি গণেশ প্রসাদ জানিয়েছেন, মানুষজনদের সমস্যায় ফেলে কখনোই প্রকাশ করতে দিবেনা প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন দেখার এটাই কবে নাগাদ প্রশাসন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে।