বংশীহারীতে হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, পুলিশের জালে অভিযুক্ত-তদন্তে পুলিশ
শীতল চক্রবর্তী, বালুরঘাট ৮ ডিসেম্বর, দক্ষিণ দিনাজপুর।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউড়িয়া এলাকায় এক হাতুড়ে দাঁতের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগের ভিত্তিতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে আটক করে গণধোলাই দেয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল প্রায় ৮টা নাগাদ গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নছুয়াপাড়া এলাকার হাতুড়ে দাঁতের ডাক্তার আশরাফুল হক ওই গ্রামের এক আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যান। অভিযোগ, ওই সময় বাড়ির গৃহবধূ একা ঘরে ছিলেন। সেই সুযোগে অভিযুক্ত ঘরের ভেতরে ঢুকে গৃহবধূর সঙ্গে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে।গৃহবধূর চিৎকারে ছুটে আসে তাঁর স্বামী ও প্রতিবেশীরা।এরপর স্থানীয়রা অভিযুক্তকে ধরে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বংশীহারী থানার পুলিশ ও গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকারের নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা বীরেন টুডু বলেন,”এক হাতুড়ে দাঁতের ডাক্তার চিকিৎসার নাম করে ওই বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূর সঙ্গে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে খবর পেয়ে এখানে আসা হয়েছে।পরে আমরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিই।”
অভিযুক্ত আশরাফুল হক অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন,”আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।আমি শুধু ডাক্তারি করতে গিয়েছিলাম।”
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন,
“এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



















