ফেসবুকে প্রেম, পরিণতিতে অপহরণ! বাংলাদেশি যুবকের ফাঁদে ভারতীয় গৃহবধূ

0
135

ফেসবুকে প্রেম, পরিণতিতে অপহরণ! বাংলাদেশি যুবকের ফাঁদে ভারতীয় গৃহবধূ, চাঞ্চল্য হিলিতে

বালুরঘাট, ২২ এপ্রিল ——-ফেসবুকে গড়ে উঠেছিল সম্পর্ক, প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন কোচবিহারের গৃহবধূ রেজিনা খাতুন। সঙ্গে ছিল তাঁর নাবালিকা কন্যাও। কিন্তু সেই সম্পর্কের পরিণতি যে অপহরণ এবং মুক্তিপণের দাবি হবে, তা কল্পনাও করেননি পরিবার। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত এক বাংলাদেশি যুবক। হিলির লস্করপুরের বাসিন্দা সাহাজাদ হোসেন মন্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ঘটনায় সাহাজাদকে গ্রেপ্তার করেছে হিলি থানার পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, “ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, কোচবিহারের মিন্টু রহমান চলতি মাসে হিলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন— তাঁর স্ত্রী ও কন্যা নিখোঁজ। তাঁর দাবি, স্ত্রী ঘর ছাড়ার সময় ৩ লক্ষ টাকা নিয়েও পালিয়ে যান। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, গঙ্গারামপুরের দুলাল মিঞা তাঁদের হিলি হয়ে বাংলাদেশি যুবকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

১৩ এপ্রিল ফেসবুক মেসেঞ্জারে কান্নাজড়িত গলায় রেজিনা মুক্তির আবেদন জানায় মিন্টুকে। তখনই ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয় সাহাজাদের অ্যাকাউন্টে। মিন্টু টাকা পাঠালে অভিযুক্তরা মা-মেয়েকে ভারতীয় ভুখন্ডে ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। পরে হিলি থানার পুলিশ দুইজনকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। যেখান থেকেই পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনায় যুক্ত গঙ্গারামপুরের সর্বমঙ্গলার আরও দুই বাসিন্দা আনারুল মিঞা ও দিলার বিবি। যাদের নামও উঠে এসেছে অভিযোগের তালিকায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের আরও অনেকের খোঁজ চলছে। ফেসবুকের নাম করে প্রতারণা ও অপহরণ চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনায় সীমান্ত নিরাপত্তা, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং নারী পাচার চক্র নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ফেসবুকের প্রেম যে এত ভয়ানক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, তা যেন নতুন করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হিলির এই কাহিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here