পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৯ জুলাই––– খাবারের দোকান এবারে শুধুমাত্র ফুড লাইসেন্সে চলবে না, থাকতে হবে উপযুক্ত ট্রেনিং এর শংসাপত্রও। কড়া নির্দেশিকা জারী জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের। নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানার পাশাপাশি রয়েছে কড়া শাস্তিরও ব্যবস্থা। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানানো হয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে।জনসাধারনের খাদ্য সুরক্ষা দিতে এদিন বিকেল থেকেই মাঠে নামতে দেখা যায় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কে।

জানা গেছে, জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের তরফে ছোট বড় সকল খাবার বিক্রেতা দোকানদারদের ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের। যার জেরে এবার থেকে আর শুধু মাত্র ফুড লাইসেন্স থাকলেই হবে না, নিতে হবে উপযুক্ত ট্রেনিংও। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত হতে চলেছে খাদ্য ব্যবসায়ীদের এই বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির। যেখানকার শংসাপত্র ছাড়া আগামীতে কেউ ফুটপাত কিংবা ফ্যাক্টরিতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবে না বলে কড়া নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। সরকার নির্ধারিত ফিস দিয়েই ট্রেনিং নিতে হবে সকল খাদ্য ব্যবসায়ীকে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ‘ফসট্যাগ’ নামে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের কাজ মঙ্গলবার থেকেই শুরু করবে দপ্তর। সোমবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানানো হয়েছে। যার কারনে এদিন বালুরঘাট শহরে খাদ্য সুরক্ষা বিষয়ক অভিযানও চালানো হয়। যেখান দফতরের পক্ষ থেকে সাধারণ দোকানিদের এই প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করা হয়। ট্রেনিং না থাকলে কেউ ব্যবসা করতে পারবে না বলেও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে । একইসাথে নির্দেশ ভেঙ্গে কেউ ব্যবসা করলে তাকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও তিন মাস পর্যন্ত জেলও দেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে এদিন। প্রশিক্ষনের সরকারী উদ্যোগ কে স্বাদুবাদ জানানো হলেও ফিসের বিরোধিতা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বালুরঘাটের এক খাদ্য ব্যবসায়য়ী বরুন দাসগুপ্ত জানিয়েছেন, করোনার কারণে এমনিতেই আর্থিক সংকটে ভুগছেন ব্যবসায়ীরা । এই প্রশিক্ষণ নিঃসন্দেহে ভালো । কিন্তু বিনা মূল্যে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করলে সকলের উপকার হয় ।
প্রজেক্ট কো’অর্ডিনেটর খোকন দাস জানিয়েছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই উদ্যোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে । আজ থেকেই ছোট বড় বিভিন্ন খাবার দোকান গুলোতে প্রশিক্ষণের বিষয়টি জানাচ্ছেন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরে কর্মী ও ফুড সেফটির অফিসাররা। নির্দিষ্ট ফিস দিয়ে ওই ট্রেনিং করতে হবে ছোট বড় সকল ব্যবসায়ীদের ।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক – টু রমেশ কিস্কু জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশেই এই প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । প্রশিক্ষণ না নিয়ে ব্যবসা করলে জরিমানার পাশাপাশি করা হবে কড়া শাস্তির ব্যবস্থাও।