শরতের কাশফুলের ঢেউয়ের দোলা এবারও লাগেনি এই বাড়িতে৷ নেই ঢাকের বাদ্যি, আলোর রোশনাই, কোলাহল। সব নিস্তব্ধতায় মোড়া। তৃতীয়ায় চারদিকে পুজোর এত আয়োজনের মধ্যেও সে যেন বলে ওঠে, ‘সবই বৃথা আমায় ছাড়া’৷
একদা জাতীয়স্তরে রাজনীতির চাণক্য ছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। তাঁর বাড়ির দূর্গাপুজো(Durga Puja) ঘিরে চাঁদের হাট বসত আঙিনায়। কত মানুষ পুজোর আগে নতুন কাপড়ের গন্ধ পেতেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত থেকে। ঢালাও খিচুড়ি ভোগের আয়োজন হত। পুজোর দিনগুলির সন্ধেয় দশভুজার সামনে প্রিয়রঞ্জনের ধুনুচি নাচ দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমাতেন মন্দিরের সামনে।
সময়ের সঙ্গে এখন সেসব অতীত। বাড়ির দূর্গামন্দিরের পাশে শিউলি ফুলের গাছটিও আজ মৃতপ্রায়। দু’চারটে ফুল মাটিতে পড়ে। মন্দিরের ছাদের কিছু অংশের চাঙড় ভেঙে পড়ার ছবি স্পষ্ট। জং ধরা লোহার রড বেরিয়ে এসেছে মন্দিরের একাংশে। দেবীর পুরোনো কাঠামোয় অসুরদলনীর বাঁধানো ছবিতে প্লাস্টিকের লাল জবাফুলের মালা। মন্দিরে ঢোকার লোহার গেট বন্ধ। এবারও দুর্গোৎসবে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে কালিয়াগঞ্জ শহরের শ্রীকলোনির দাশমুন্সি বাড়ি। দূর্গাপুজোয় জৌলুস ছাড়াই কাটবে প্রিয়রঞ্জনের আলয়।
বর্তমানে কালিয়াগঞ্জের একটি পরিবার দাশমুন্সি বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে যেতেই বোঝা গেল, পরিবারের নির্দেশে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন তাঁরা। দোতলার সি