পৌর নির্দেশ অমান্য করে বালুরঘাটে মোবাইল টাওয়ার বসানোর অভিযোগ

0
454

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ৩১ মে—   পৌরসভার নির্দেশ অমান্য করে কোন ছাড়পত্র ছাড়াই জনবহুল এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর অভিযোগ বালুরঘাটে। মুখ্যমন্ত্রী সহ শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকদের গন অভিযোগ পত্র দাখিল বাসিন্দাদের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ১৯ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালপাড়া এলাকার। অভিযুক্তর ব্যক্তির নাম স্নেহাংশু ঘোষ ওরফে লাল্টু। তিনি অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 
    লাল্টু জানিয়েছেন, পৌরসভার তরফে কোন লিখিত নির্দেশ তার কাছে আসেনি। যে কারণেই কাজ চালু রেখেছেন।
     জানা গেছে, বালুরঘাট শহরের কাঠালপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্নেহাংশু ওরফে লাল্টু তার বাড়ির ছাদে  প্রতিবেশীদের  অনুমতি ছাড়াই উচ্চ রেডিয়েশন সম্পন্ন একটি মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু করে বলে অভিযোগ। যার জেরে জনবহুল এলাকায় ক্ষতিকারক ওই রেডিয়েশনে এলাকার শিশু সহ অনেকেরই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। নানাভাবে বিষয়টি বাড়ি মালিককে বাসিন্দারা জানালেও, তিনি কোন কর্নপাত করেন নি বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়,উলটে বাসিন্দাদেরই দেখে নেবার হুশিয়ারি দিয়েছেন ওই বাড়ি মালিক লাল্টু বলেও অভিযোগ। আর যার প্রতিবাদেই বাসিন্দারা একত্রিতভাবে জেলা প্রশাসন সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য প্রশাসনিক স্থানে গন অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। ঘটনা জানবার পরেই পৌরসভার তরফে ওই টাওয়ারের কাজ বন্ধ করবার নির্দেশ দেওয়া হলেও তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদারে মোবাইল টাওয়ার নির্মানের কাজ চালিয়ে চলেন বাড়ি মালিক স্নেহাংশু বলেও অভিযোগ। এক্ষেত্রে তার যুক্তি, এটা কোন মোবাইল টাওয়ার নয়। ইন্টারনেট পরিষেবা দেবার টাওয়ার। যার কাজ বন্ধের জন্য পুরসভার তরফে কোন নির্দেশিকা পাননি তিনি।

  এলাকার বাসিন্দা তীর্থংকর ভট্টাচার্য ও অভিষেক কুন্ডুরা জানিয়েছেন, মোবাইল টাওয়ারের খারাপ রেডিয়েশনে প্রভাব পড়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উপর। এলাকায় ওই টাওয়ার তৈরিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। বাসিন্দাদের বিনা অনুমতিতেই সেটা বসানো হচ্ছে। যার কারনেই তারা গন অভিযোগ পত্র দায়ের করেছেন প্রশাসনিক সব স্তরেই।

   বালুরঘাট পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হরিপদ সাহা জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। পুর প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই কাজটি বন্ধ করে দেবার জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here